কলকাতায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে। —নিজস্ব চিত্র।
জল্পনা চললেও পুরনো দলে ফেরার সম্ভাবনা যে নেই, তা আগে স্পষ্ট করেছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঝালদার পুর-প্রতিনিধিরা। এ বারে কলকাতায় গিয়ে পুর ও নগরোয়ন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তাঁরা যে আপাতত ঝালদার পুর-পরিষেবা ও উন্নয়নমূলক কাজকেই গুরুত্ব দিতে চান, কার্যত সে বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
বুধবার ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পুর-প্রতিনিধি মিঠুন কান্দু, বিজয় কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার মন্ত্রী ফিরহাদের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোও। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঝালদার মূলত শহর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিধায়ক বলেন, “জলের অভাব ঝালদার অন্যতম বড় সমস্যা। মন্ত্রী জলের সমস্যা অচিরে মিটবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া, আবাস প্রকল্প, বাসস্ট্যান্ড তৈরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”
পুরপ্রধান শীলার দাবি, আবাস প্রকল্পে কিস্তির টাকা না মেলায় প্রাপকেরা আতান্তরে পড়েছেন। সে জটিলতা কাটাতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখার কথা বলেছেন। জল-সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পুরবাসীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়াই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। মিঠুনের কথায়, “মন্ত্রী গুরুত্ব নিয়ে ঝালদার সমস্যাগুলি শুনেছেন। সেগুলি সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন। বৈঠকে আমরা খুশি।”
বৈঠকের খবর চাউর হতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর কটাক্ষ, “জল প্রকল্পের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওরা শুধু বিরোধীদের ঘর ভেঙেছে। ঝালদাবাসীর জল আর জোটেনি। এ বারে যদি সত্যিকারের কিছু হয়, তা হলে এলাকার মানুষেরই মঙ্গল হবে।”
পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, “এই সরকার কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে। ওই জল প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে আমরা দলীয় ভাবেও তদারকি করছি। শীঘ্রই ঝালদার মানুষের জলের সমস্যা মিটবে বলে আমরা আশাবাদী।”