ধৃত আনারুলকে নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই নেতার। নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েক মাস আগেই রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে আনারুল হোসেনকে সরাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত অনুরোধেই আনারুলকে সরাতে পারেননি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার আগে যদিও অনুব্রতকে লেখা আশিসের সেই চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসে। যে চিঠি দেখে বিস্মিতও হন অনুব্রত। তাঁকে লেখা আশিসের চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে দেখে তিনি বলেন, ‘‘এটা কোথায় পেলেন?’’ তার পর জানান, আশিসের অনুরোধেই তিনি আনারুলকে সরাতে পারেননি।
আশিসের লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর অনুব্রত দাবি করেন, তিনি অনেক আগেই রামপুরহাট ১ নম্বর এর ব্লক সভাপতির পদ থেকে আনারুলকে সরাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় আশিস চিঠি লিখে আনারুলকে পঞ্চায়েত ভোট অবধি রাখার অনুরোধ করেন। আশিসের সেই পুরনো চিঠি দেখে বিস্মিত অনুব্রত বলেন, ‘‘এটা আশিসদার লেখা। এটা সত্যিই বটে। গোপন চিঠিটা আপনাদের হাতে কী করে এল? কী করে চিঠিটা বেরোল জানি না। আমি আনারুলকে সরাতেই গিয়েছিলাম। ভোটের ফল খারাপ। মানুষ জনের অভিযোগ আছে। তখন আশিসদা বলেন, আমি মুচলেকা লিখে দিচ্ছি। ওকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত রাখো। আশিসদা এক জন প্রবীণ লোক। ওর বিধানসভার ব্যাপার। উনি যখন লিখে দিলেন আমাকে তখন আমি আর আনারুলকে সরালাম না।’’
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় দল বগটুই ঘুরে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে। সেই রিপোর্টে অনুব্রত নাম একাধিক বার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সে প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি কী রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি দেখিনি। তা নিয়ে আমি আগ্রহ দেখাতে রাজি নই। আমি আনারুলকে ওই সময়ে বলেছিলাম, তুই সরে যা। আমি আশিসদাকে অন্য ব্লক প্রেসিডেন্টের নাম বলতে বলেছিলাম। কিন্তু শেষমেশ সেটা আর হয়নি।’’
এ ব্যাপারে আশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি চিঠিটি লিখেছিলাম। কিন্তু ওই ব্লক সভাপতি সরবেন কি সরবেন না, সে সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি না।’’