সাসপেন্ড এসডিপিও
বগটুই হত্যাকাণ্ডে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিকের পর এ বার সাসপেন্ড করা হল শহরের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। বুধবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’-এ রাখা হয়েছিল সায়নকে। এর পর বৃহস্পতিবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। নবান্নের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে এই খবর।
সোমবার বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের জেরে আট জনের মৃত্যুর ঘটনার পরেই রামপুরহাটের আইসি ত্রিদীপ এবং এসডিপিও সায়ন আহমেদকে ‘ক্লোজ’ করেছিল রাজ্য পুলিশ। ডিজিপি মনোজ মালবীয় ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এর পর বৃহস্পতিবার কর্তব্যে গাফিলতির কারণে ত্রিদীপকে বরখাস্ত করা হল। ওই সিদ্ধান্তের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সায়নকে বরখাস্ত করা হল।
বগটুই-কাণ্ডে শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এক রকম ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল ওঠার সমতুল্য। কারণ, মমতা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও। সেই কারণেই রামপুরহাটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ওই ঘটনা কানে আসার পর আমাদের সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। অন্তত ৫০ বার আমার কাছে ফোন এসেছিল। দ্রুত খবরাখবর নিয়েছি এবং পদক্ষেপ করতে বলেছি। রামপুরহাট থানার আইসি ও এসডিপিও-কেও ক্লোজ করেছি আমরা। ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষই হবে। দোষীরা রেহাই পাবে না।’’
বৃহস্পতিবার বগটুই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময়েই অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশিই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কঠোর ছিলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘ডিআইবি, আইসি নিজের দায়িত্ব পালন করেননি। ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পুলিশ সঠিক সময় ওই ঘটনা এড়ানো যেত। যে সব পুলিশ অফিসারেরা জড়িত, তাঁদেরও ছাড়া হবে না।’’ ঘটনাচক্রে, এর পরেই আইসি ও এসডিপিও-কে সাসপেন্ড করা হল।
রাজ্য পুলিশের নোটিস