ভাঙা হয়েছে কাচ। নিজস্ব চিত্র
অবৈধ মদ উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়ল আবগারি দফতর। ভাঙা হল দফতরের গাড়ির কাচ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া গ্রামের ঘটনা। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মেলে খরবোনা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সুবোধকুমার সাহার বাড়িতে অবৈধভাবে দেশি মদ মজুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ ১০ কনস্টেবলকে নিয়ে আবগারি দফতরের ডেপুটি কালেক্টর সুহৃদ রায় কাষ্ঠগড়া হাইস্কুল লাগোয়া সুবোধের বাড়িতে যান। সুহৃদ বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। কিন্তু বাড়ির ভিতরে যে দেশি মদ মজুত আছে সেটা বোঝা যাচ্ছিল।’’
সুবোধের বাড়ির পাশেই থাকেন তাঁর ভাই, কাষ্ঠগড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রবোধকুমার সাহা। দফতরের কর্মীরা জানান, তাঁর বাড়িতে খোঁজ করতে সেখান থেকে জানানো হয় সুবোধের ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। এরপরে দফতরের কর্মীরা সুবোধের বাড়ির তালা ভেঙে ৩৯ পেটি দেশি মদ উদ্ধার করেন। আবগারি দফতরের কর্মীদের অভিযোগ, উদ্ধার করা মদ গাড়িতে তোলার সময়েই প্রবোধ এসে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও গাড়ির পিছনের কাচ লাথি মেরে ভেঙে দেন। ডেপুটি কালেক্টর জানান, প্রবোধকে আটক করে গাড়িতে তোলার পরে এলাকার বাসিন্দারা গাড়ি ঘিরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডেপুটি কালেক্টর জানান, প্রবোধের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রবোধের অবশ্য দাবি, আবগারি দফতরের গাড়ির কাচ তিনি ভাঙেননি। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘দাদার বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। সেখানে কে বা কারা মদ মজুত রেখেছিল আমার জানা নেই। আবগারি দফতর যখন মদ উদ্ধার করে তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্কুলের টিফিনের সময় আমি এলাকায় পৌঁছই।’’ প্রবোধের অভিযোগ, ‘‘আবগারি আধিকারিক আমার সঙ্গে কথা বললে আমি ওনাকে জানাই আবগারি দফতরের মদতেই এলাকায় অবৈধভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে। তাতেই উনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে তাঁদের গাড়িতে তোলেন। আমাকে গাড়িতে তোলা হয়েছে দেখে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আবগারি দফতরের কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তাতেই আবগাড়ি দফতরের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।’’ যাঁর বাড়ি থেকে মদ উদ্ধার হয়, সেই সুবোধের দাবি, ‘‘আমি রামপুরহাটে থাকি। কারা আমার বাড়িতে মদ মজুত রেখেছিল আমার জানা নেই।’’
আবগারি দফতরের ডেপুটি কালেক্টর জানান, ওই মদ কারা মজুত করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।