শহরে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মিছিল। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
শহরে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের সরাসরি বিরোধিতায় নামলেন তৃণমূলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্বাশ হোসেন। সোমবার ‘রামপুরহাট ফুটপাথ ব্যবসায়ী বাঁচাও সমন্বয় কমিটি’র পক্ষ থেকে তিনি মিছিল করে পুরপ্রধানের কাছে একটি স্মারকলিপিও দিলেন। তার আগে পুরসভার সামনে কমিটির জমায়েতে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের বিরোধিতায় বক্তব্যও রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মহকুমাশাসক গায়ের জোরে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন। কিন্তু, বিকল্প ব্যবস্থা না করলে আমরা সরব না। তাই এখানে আমি কাউন্সিলর হিসেবে নই, এক জন ফুটপাথ ব্যবসায়ী হিসেবে পেটের লড়াইয়ে উপস্থিত হয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, পুরপ্রধানকে ভাল ভাবে বিবেচনা করে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করার অনুরোধ করব।
এ দিকে, আব্বাশ হোসেনের সঙ্গে এ দিন কংগ্রেস কাউন্সিলর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জামালদ্দিন সেখ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের সঞ্জীব মল্লিক ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের পুরসভার মাঠে জমায়েতে বক্তব্য রাখেন। পরে একই সঙ্গে পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
উত্তেজনা রামপুরহাটের বগটুইয়ে।
রামপুরহাট ফুটপাথ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠনের নেতা সাহাজাদা কিনু বলেন, ‘‘ফুটপাথ উচ্ছেদের আগে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।’’ সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক বলেন, ‘‘ফুটপাথ উচ্ছেদ নিয়ে এসডিও-র খামখেয়ালি কার্যকলাপ মেনে নেওয়া যাবে না।’’ কংগ্রেস কাউন্সিলর জামালউদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘রামপুরহাট শহরে ফুটপাথ আগে চিহ্নিত করে, তবেই উচ্ছেদ করে দেওয়ার কথা বলুক প্রশাসন।’’
সিপিএম প্রভাবিত ফুটপাতথ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সম্পাদক কৃষ্ণগোপাল দে প্রশ্ন তোলেন, রামপুরহাট শহরে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা বা দোকানের ব্যবস্থা এখনও পুরসভা থেকে করার উদ্যোগ নেওয়া হল না কেন?
পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না, নীতি নিয়েছেন। রামপুরহাটেও সেই নীতির ব্যতিক্রম হবে না। এখানে কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি বা হচ্ছে না।’’ এ বিষয়ে রামপুরহাটের মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস-এর বক্তব্য মেলেনি।