গত ফেব্রুয়ারিতেও তারাপীঠে ঘটা করে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত। সে সময়ে প্রেক্ষিতটা ছিল স্বস্তির। এই একই মামলায় মাসখানেক আগে কলকাতা হাই কোর্টই সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল।
তারাপীঠ মন্দিরে চলছে যজ্ঞ। নিজস্ব চিত্র।
গরুপাচার মামলায় মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর রাত গড়াতেই তাঁর মঙ্গলকামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেন দলের বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা। তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
তবে অনুব্রত নিজে এই যজ্ঞে হাজির হতে পারেননি। কেন না তিনি মঙ্গলবারই আসানসোলে গিয়েছেন লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে। যদিও এই মহাযজ্ঞ কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুকুমার, অশোক, ত্রিদীপরা। তবে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছে, আদালতে রক্ষাকবচ না পেতেই এ বার তারা মায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত।
গত ফেব্রুয়ারিতেও তারাপীঠে ঘটা করে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত। সে সময়ে প্রেক্ষিতটা ছিল স্বস্তির। এই একই মামলায় মাসখানেক আগে কলকাতা হাই কোর্টই সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। রক্ষাকবচ পাওয়ার দিনই তারাপীঠে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। সেই সঙ্গে ভোগ নিবেদন, দরিদ্র ও নরনারায়ণ সেবারও আয়োজন করেছিলেন কেষ্ট।
এ বারও সেই একই মামলা। তবে এ বার আর কবচ মিলল না কেষ্টর। হাই কোর্ট তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, এই মামলায় একক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তা বহাল থাকবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করলে এ বার তাঁকে যেতেই হবে সিবিআইয়ের কাছে।
গরুপাচার মামলায় চার বার অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ অনুব্রতের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, ‘‘বার বার আদালতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কোনও তদন্তে আদালত এ ভাবে সিবিআইয়ের হাত বাঁধতে পারে না।’’ মঙ্গলবার একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।