এই কিয়স্কই তৈরি করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাসম্ভব সুরক্ষিত রেখে সম্ভাব্য করোনা-আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ কিয়স্ক বসেছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। সেই কিয়স্ক তৈরি করেছে বোলপুরের একটি সংস্থা। তাদের দাবি, এই কিয়স্কগুলি শুধু খুব কম খরচে তৈরি হচ্ছে তাই-ই নয়, এগুলিকে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই কিয়স্কগুলির সাহায্যে রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। বীরভূম জেলার স্বাস্থ্য প্রতিনিধিদল এসে তাদের তৈরি কিয়স্ক পরীক্ষা করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
পলিমার পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাটির ম্যানেজার বীযুষ ঘোষ বলেন, “কেরলে প্রথম তৈরি হওয়া এই ধরনের কিয়স্কগুলির খরচ অনেক বেশি। আমরা স্বল্পমূল্যে উন্নত মানের কিয়স্ক তৈরি করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে এই কিয়স্ক যদি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তা হলে, কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ী নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র তৈরি করার খরচ এবং সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।’’ সংস্থার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলায় এবং রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও এই কিয়স্ক পাঠানো হয়েছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “বীরভূম জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহের জন্য ওই কিয়স্ক বসানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত থাকা অত্যন্ত জরুরি, তাই বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার অন্তর্গত ১১টি ব্লক হাসপাতালেও এই কিয়স্ক শীঘ্রই বসানো হবে।’’
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় এ পর্যন্ত কোনও সংক্রমণ ধরা না পড়লেও, সম্ভাব্য করোনা রোগী চিহ্নিত করতে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে জেলায় টেস্টের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদেরও আশা, এই কিয়স্কগুলির সাহায্যে অপেক্ষাকৃত সহজে এবং নিরাপদে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা যাবে।