কৃতী: (বাঁ দিকে) ঐন্দ্রী ও (ডান দিকে) দেবোপম। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে দুটি প্রকল্প উপস্থাপন করে নজর কাড়ল বোলপুরের দুই পড়ুয়া।
মঙ্গলবার ছিল জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের বীরভূম জেলার ২৮তম অধিবেশন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বোলপুর ইনস্টিটিউট অফ টোটাল এডুকেশন সেন্টারে। মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়াল ভাবে সেই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বপন দত্ত। অধিবেশনে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১০-১৭ বছর বয়সী ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে।
এ দিনের এই অনুষ্ঠানে জেলার শ’খানেক পড়ুয়া অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে অংশ নেয়। সেখানেই বোলপুর শৈলবালা গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঐন্দ্রী ঘোষ তার গবেষণাপত্র পেশ করে। রাজ্যের নিরিখে বীরভূম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং এই কম হওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে ওই গবেষণাপত্র তৈরি করেছে সে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কীভাবে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালানো যেতে পারে সেই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে তৈরি করা গবেষণাপত্র পেশ করে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দেবোপম বেরা। ওই দু’জনের গবেষণাপত্র সকলেরই নজর কাড়ে।
দেবোপম, ঐন্দ্রীর কথায়, “এখন করোনা নিয়ে সকলে উদ্বেগে রয়েছেন। তাই আমাদের মনে হয়েছে এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে যদি কিছু বিষয় মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়। সেই চেষ্টাই আমরা করেছি।’’ এ দিন জেলা স্তরে এই ধরনের প্রায় ৩০টি মতো গবেষনাপত্র অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমেও উপস্থাপন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক তারক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুপ্রিয়কুমার সাধু বলেন, “জেলাস্তরে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রগুলির মধ্যে উৎকর্ষের বিচারে নির্বাচিত গবেষণাপত্রগুলি রাজ্য ও জাতীয় স্তরে পাঠানো হবে।”