Tsunami and Earthquake in Japan

ভূমিকম্প বিপর্যস্ত জাপানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সস্ত্রীক বিশ্বভারতীর অধ্যাপক

এখনও আতঙ্ক কাটেনি জাপানে। বিশেষ করে দেশের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলেও রয়েছে সুনামির সতর্কতা। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:২৪
Share:

অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস। —নিজস্ব চিত্র।

জাপানে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতে সেখানে স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে গবেষণার জন্য রয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস। তিনি বোলপুরের নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিবার।

Advertisement

এখনও আতঙ্ক কাটেনি জাপানে। বিশেষ করে দেশের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলেও রয়েছে সুনামির সতর্কতা। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। জাপান সরকার জানিয়েছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানকার ভয়াবহতার কথা। উপকূল এলাকা থেকে লোকজনদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা বেড়েছে। সুদীপ্ত বলেন, “আমি এবং আমার পরিবার সুস্থ আছি। তবে, পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। কারণ, আমি সদ্যোজাত শিশু-সহ পরিবারকে নিয়ে এখানেই আছি। তবে ভারতীয় দূতাবাস আমাদের হেল্পলাইন নম্বর দিয়েছে। জাপান সরকারও দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। খবরটি পাওয়া মাত্রই বোলপুরে বাড়ির পরিবার পরিজন সবাই খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।”

সুদীপ্ত আরও জানান, জাপানের উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা খুবই সংকটজনক। এই মুহূর্তে জাপানে ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। জলও নেই। ইতিমধ্যে ৫ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার জাপানে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তোইয়ামা ও মিয়াজাকিতে নতুন করে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস উঠছে এখনও। আহত হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া, ইশিকাওয়া দ্বীপের ওয়াজিমা শহরে আগুন লেগে যাওয়ায় নতুন করে আবারও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যে হেতু স্কুল এবং কলেজ সব বন্ধ তাই প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement