সফরে: রামপুরহাটে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপকুমার মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার উপভোক্তার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে, তা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে পেরেছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপকুমার মজুমদার। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, আবাস যোজনা নিয়ে ‘অকারণ জলঘোলা’ হচ্ছে অনেক। নানা রকম ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো হচ্ছে।
বুধবার সকালে তারাপীঠে একটি স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে রামপুরহাট স্টেশনে নামেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানান রামপুরহাটের বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাট ১ ব্লকের অধীন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, সদস্যরা পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। সেখানেই মন্ত্রী দাবি করেন, আবাস যোজনা নিয়ে মিথ্যাচার চক্রান্ত করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতার সভায় আবাস যোজনার আবেদন পত্র বিলি করে বলা হচ্ছে, যে ভরে দিন আমরা দিয়ে দেব।’’ এর পরেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পিএম কিসাননিধি প্রকল্পে ২৯ লক্ষ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এক জনও টাকা পাননি। অথচ ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা বঞ্চিত।
মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘মিথ্যাচার, চক্রান্ত করে পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সব রকম শর্ত মেনে, ঠিক প্রথা মেনে কাজ করা সত্ত্বেও আমাদের যা প্রাপ্য, তার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিছু রাজনৈতিক নেতা।’’ পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, আবাস যোজনারর তালিকায় কিছু নাম বাদ গিয়েছে। নতুন নাম সংযোজনের কোনও জায়গা এই মুহূর্তে নেই। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের কাছে আমরা এটাও বলেছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যাঁরা যোগ্য অথচ তালিকাভুক্ত নন, তাঁদের তালিকাভুক্ত করার জন্য আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক।’’