বার্তা: রামপুরহাটের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিয়েছে, এপ্রিল মাস থেকে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়েই মোটরবাইক বা স্কুটার চালাতে হবে। এবং তা বাধ্যতামূলক।
সেই নির্দেশকে মান্যতা দিতে আগাম রাস্তায় নেমে পড়ল বীরভূম জেলা পুলিশ। শনিবার পুলিশ আগাম আলো জ্বালানোর অনুরোধ করে সমস্ত চালকদের। এসডিপিও (রামপুরহাট) ধৃতিমান সরকার এ দিন তাঁর এলাকার সমস্থ থানাকে নির্দেশ দেন। সেই মতো পথে নামে পুলিশ। তবে শুধু মোটরবাইক নয় এসডিপিও জানিয়েছেন, পাথরচাপুড়ি মেলা চলছে। এই সময় বহু সংখ্যক মানুষকে সচেতন করতে সবরকমের গাড়িকেই হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এপ্রিল থেকে যে সব নতুন দু’চাকার গাড়ি রাস্তায় নামবে তার প্রত্যেকটিতে এএইচও (অটোমেটিক হেডল্যাম্প অন) থাকতে হবে। এই একই পদ্ধতি ডিআরএলএস (ডে-টাইম রানিং ল্যাম্পস) নামে ইতিমধ্যেই চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে আছে। অর্থাৎ গাড়ি স্টার্ট করার সঙ্গে সঙ্গে হেডলাইট জ্বলবে। যাঁদের বাইকে এই ফিচার থাকবে না, তাঁদেরকে ম্যানুয়ালি হেড লাইট জ্বালিয়ে বাইক বা স্কুটার চালাতে হবে। কেন এমন নির্দেশ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা কমাতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগে তো জরুরি ক্ষেত্রে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালানোর নিয়ম ছিল। কিন্তু এখন দুর্ঘটনা কমাতে সামনে থেকে আসা গাড়িকে সতর্ক করতেই হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখার নিয়ম আনা হচ্ছে। উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে আসলে জানান দেওয়া যে সামনে গাড়ি আছে। এতে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির চালক এবং পথচারীরাও সতর্ক হয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: এনআইএ হাতে চায় আসাদুল্লাকে
দুর্ঘটনা ঠেকাতেই এমন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশে দুর্ঘটনা ঠেকাতে ২০০৩ থেকেই এএইচও এবং ডিআরএলএস-এর নিয়ম চালু আছে। এ রাজ্যে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি নিয়ে বিশেষ নজর দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নতুন এই নির্দেশ নিয়েও তৎপর তাঁরা। পথে সেই নির্দেশ মানা না হলে ফাইন করা হবে। কেউ যাতে সমস্যায় না পড়েন তাই এ মাসের বাকি কয়েক দিন ধরেই পথে নেমে বলবে পুলিশ।
পুলিশ রাস্তায় নেমে বাইক, বাস, ট্রাক চালকদের দিনভর নির্দেশ দেয় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালানোর। নলহাটি বাসস্ট্যান্ড, নলহাটি-মুরারই রাস্তায় এবং রামপুরহাট থানার মনসুবা মোড়ে চলছে পুলিসের প্রচার। এসডিপিও বলেন, ‘‘পাথর চাপুড়ি মেলা চলছে। রাস্তায় প্রচুর পরিমানের গাড়ি চলছে। এখন থেকে ঠিক মতো প্রচার চালাতে পারলে সকলের কাছে খবরটা দ্রুত পৌছে দেওয়া যাবে।’’ তিনি আরও জানান, জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় সড়কে হোর্ডিং লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।