ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান। —ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত পাঁচ মাওবাদী। কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানায় এবং উত্তর অবুঝমাড়ে মাওবাদী গতিবিধির বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফের জওয়ানেরা যৌথ অভিযান চালান। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছিল গুলির লড়াই। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে। যৌথ অভিযানে অন্তত পাঁচ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রও। মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন দুই জওয়ান। ওই অঞ্চলে আরও কোনও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন জওয়ানেরা।
বস্তার পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জখম দুই জওয়ানকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে এবং উভয়েরই শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ে একাধিক অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ৪ অক্টোবর ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিলেও ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কের জেলায় এক অভিযানে ২৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে বস্তার অঞ্চলে সাতটি জেলা মিলিয়ে মোট ১৯৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের অক্টোবর মাসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ২৩০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৩৮টি জেলায় এখনও সক্রিয় মাওবাদীরা। যদিও সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর, ২০১০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হিংসা ৭২ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুও কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাও-হিংসা নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। গত মাসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে আরও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।