এ বার আদ্রা

পুলিশের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ

প্রতিযোগিতামূলক চাকরির প্রশিক্ষণ দেয় যে সব বেসরকারি সংস্থা, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আদ্রায় নিখরচায় চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৭
Share:

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার।—নিজস্ব চিত্র

প্রতিযোগিতামূলক চাকরির প্রশিক্ষণ দেয় যে সব বেসরকারি সংস্থা, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আদ্রায় নিখরচায় চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রেলশহরের গাঁধী ভবনে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার। উপস্থিত ছিলেন কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া, রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায়, এসডিপিও (রঘুনাথপুর) গোপাল গোস্বামী-সহ রঘুনাথপুর ১ ও কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির দুই সভাপতি ও দুই ব্লকের বিডিও। এ ছাড়াও রেলের দুটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ মোট পাঁচটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

জনসংযোগের কথা মাথায় রেখে আদ্রার আগে বান্দোয়ান ও বলরামপুর— জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই দুই থানা এলাকায় এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু হয়েছে। কিন্তু আদ্রার কেন্দ্রটির সঙ্গে ওই দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর পার্থক্য রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কেমন?

Advertisement

রেলশহর আদ্রা-সহ পাশের কাশীপুর, রঘুনাথপুর এলাকা জেলার জঙ্গলমহলের চেয়ে উন্নত। এখানকার ছেলেমেয়েদের পক্ষে সহজেই পাশের আসানসোলে গিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় প্রতিযোগিতামূলক চাকরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সে কথা মনে রেখেই আসানসোলের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আদ্রার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য হাত মিলিয়েছে পুলিশ।

এই কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কাশীপুরের সিআই সত্যব্রত চক্রবর্তী জানান, আসানসোলের ওই সংস্থার শিক্ষকেরা সপ্তাহে চার দিন আদ্রার গাঁধী ভবনে এসে প্রশিক্ষণ দেবেন। এ দিন পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক বা বিডিওরা জানিয়েছেন তাঁরাও সময় করে আদ্রায় এসে ক্লাস নেবেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আদ্রার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আদ্রা-সহ রঘুনাথপুর, কাশীপুর, পাড়া এলাকার ছেলেমেয়েরা নিখরচায় প্রশিক্ষণ পাবেন। পুলিশ চাইছে আদ্রার এই কেন্দ্রটিকে বেসরকারি সংস্থার ধাঁচে চালাতে। অর্থাৎ যখন যে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি হবে, তখন সেই চাকরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কেন্দ্রে এখন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির প্রশিক্ষণ মিলবে। সম্প্রতি কনস্টেবল পদে শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। কয়েক মাস পরেই লিখিত পরীক্ষায় বসবে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা।

কেন এমন ভাবনা?

পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতায় দেখেছি পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা পুলিশ বা আধা সামরিক বাহিনীর পরীক্ষাগুলির শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক ভাবে নিতে না পারাতে শেষমেষ আটকে যায়। সেই ফাঁকটা উতরে দিতেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।’’

আপাতত আদ্রার এই কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ হওয়া চাকরি প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরের ধাপে স্টাফ সিলেকশন কমিটি, পিএসসি, ব্যাঙ্ক কিংবা রেল— যখন যে ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে সেই মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এলাকার দুঃস্থ অথচ প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে এলাকার কোনও হস্টেলে রেখে এই কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও পুলিশের রয়েছে। তার জন্যে কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার কাছে এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে একটি হস্টেল তৈরির অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তাতে সম্মতিও জানান স্বপনবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement