POCSO

ধর্ষণের মামলায় পকসো ধারা যুক্ত হতে ২ বছরেরও বেশি দেরি, অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লি হাই কোর্ট

প্রথম এফআইআরে পকসো আইনের ধারা ছিল না। পকসো ধারা যুক্ত করে নতুন এফআইআর দায়ের হতে দু’বছর দেরি হয়েছিল। ওই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় এক অভিযুক্তকে জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের ২৯ জুলাই। প্রথমে নাবালিকার মা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত। পরে এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। তখন পকসো ধারায় মামলা ছিল না। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ঘটনার প্রায় দু’বছর পর ওই মামলায় পকসো ধারা রুজু করে নতুন করে এফআইআর করা হয়েছিল। কী কারণে পকসো ধারা যোগ করতে এত দেরি, সেই নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাই কোর্টের বিচারপতি মনোজকুমার ওরির বেঞ্চ ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

ওই মামলায় প্রথমে নির্যাতিতার মা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় দু’বছর পর নতুন করে পকসো ধারায় এফআইআর রুজু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর দায়েরের আগেই ঘটনাটি ঘটেছিল। তার পরেও নতুন এফআইআর দায়ের হতে দু’বছরেও বেশি সময় লাগল।

উল্লেখ্য, ওই মামলায় নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছিল। সেখানে নাবালিকা জানিয়েছে, ঘটনার পরের দিনই সে নিজের মা-কে বিষয়টি জানিয়েছিল। মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছে, ঘটনার সময় নির্যাতিতার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর আত্মীয় ও পরিজনেরা বাড়িতেই ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন অভিযুক্তের হাত থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছিলেন। এর পরেও কেন পকসো ধারায় মামলা রুজু হতে দু’বছর দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি হাই কোর্ট। পকসো ধারায় এফআইআর দায়ের হওয়ায় এতটা দেরি হওয়ায় অভিযুক্তকে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement