মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ এক দিনের ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন মিচেল স্টার্ক। ভেঙে দিলেন ৩৭ বছরের পুরনো রেকর্ড। ইংল্যান্ডের কাছে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াও হেরে গেল ১৮৬ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় এখন ২-২।
লিয়াম লিভিংস্টোনের সামনে লর্ডসের ২২ গজে এক রকম দিশেহারা দেখাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের জোরে বোলারকে। স্টার্কের এক ওভারে লিভিংস্টোন মারেন ৪টি ছক্কা এবং ১টি চার। মোট ২৮ রান। এক দিনের ক্রিকেটে এক ওভারে স্টার্কের আগে অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলার এত রান দেননি। এর আগে ১৯৮৭ সালে সিমন ডেভিস এক ওভারে ২৬ রান দিয়েছিলেন। সেটাই এত দিন ছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এক ওভারে কোনও অস্ট্রেলীয় বোলারের দেওয়া সর্বোচ্চ রান। স্টার্ক ২৮ রান দিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়লেন লজ্জার নতুন নজির।
এ বার আইপিএলের পূর্ণ নিলাম হবে। কেকেআর কোন পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখবে, তা এখনও সরকারি ভাবে ঘোষণা করেনি। ফলে অনিশ্চিত স্টার্কের আইপিএল ভবিষ্যৎ। গত মরসুমে ফাইনাল-সহ তিনটি ম্যাচে কেকেআরের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার। বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য সমালোচনা হয়েছিল। স্টার্ক প্রচুর রান দিয়েছিলেন কয়েকটি ম্যাচে। শুক্রবারের ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স কেকেআর কর্তৃপক্ষেরও উদ্বেগ বৃদ্ধি করতে পারে।
কেকেআর বোলারের লজ্জার নজির গড়ার দিনে জিততে পারল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করে ৫ উইকেটে ৩১২ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লর্ডসের ২২ গজে এক দিনের ক্রিকেটে এটাই ইংরেজদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন। এ ছাড়া বেন ডাকেট ৬৩ এবং হ্যারি ব্রুক ৮৭ রান করেন। ৮ ওভার বল করে ৭০ রান দিয়েছেন স্টার্ক। জবাবে ২৪.৪ ওভারে ১২৬ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। সর্বোচ্চ ট্র্যাভিস হেডের ৩৪ রান। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু পটস। ৩৬ রানে ৩ উইকেট ব্রাইডন কারসের।
সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তার পরের দু’টি ম্যাচ জিতে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড। রবিবার ব্রিস্টলে সিরিজ়ের পঞ্চম এক দিনের ম্যাচ।