সিউড়ি থানায় জামাইষষ্ঠীর আয়োজন। নিজস্ব চিত্র।
থানাতেই পালিত হল জামাইষষ্ঠী। উর্দি ছেড়ে ধোপদুরস্ত পাজামা-পাঞ্জাবিতে সাজলেন পুলিশকর্মী এবং আধিকারিকরা। আর দুপুরে ভরপেট লুচি-মাংসের আয়োজন। রবিবার এমন বিরল দৃশ্য দেখা গেল বীরভূমের সিউড়ি থানায়।
পুলিশের চাকরি। ফলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ থাকলেও কোনওটিতেই প্রায় যোগ দিতে পারেন না পুলিশকর্মীরা। এ বারের জামাইষষ্ঠীতে সহকর্মীদের সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিলেন সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলি। রবিবার সকাল থেকেই সিউড়ি থানায় সাজ সাজ রব। থানার কর্মীরা উপস্থিত সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে। থানার সামনের লনে ছাতা খাটিয়ে ভোজনের আয়োজন। ব্যস্ত থানা। অথচ চারপাশে উৎসবের মেজাজ। এমনটা শেষ বার কবে দেখা গিয়েছে, তা স্মরণে আনতে পারলেন না কেউ। সিউড়ির আইসি জানিয়ে দিলেন, বিবাহিত পুলিশকর্মীদের জন্য জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করা হয়েছে।
আইসির কথায়, ‘‘জামাইষষ্ঠী বাঙালির তেরো পার্বণের মধ্যে। আমরা অন্যান্য অনুষ্ঠান কাজের মধ্যে থেকেই পালন করি। আমরা এই অনুষ্ঠানে বাড়ি যেতে পারিনি সকলে। তাই এখানে সমবেত হয়ে ভাল খাওয়াদাওয়া করে জামাইষষ্ঠী পালন করলাম।’’
সব দেখেশুনে সিউড়ি থানার পুলিশ আধিকারিক অশোক মহাপাত্র বললেন, ‘‘জামাইষষ্ঠী এ ভাবে কোথাও পালন হচ্ছে এমনটা দেখিনি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এ ভাবে রাজ্যের কোথাও জামাইষষ্ঠী পালিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’’
এ সব দেখে সিউড়ির এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘থানায় ‘জামাই আদর’ বললেই লোকের পিলে চমকে ওঠে। কিন্তু এ তো দেখা যাচ্ছে সত্যিই জামাই আদর!’’