প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার লকডাউন কার্যকর করতে যাওয়ায় পুলিশের উপরে হামলার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এ বার লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে বীরভূমে হেনস্থার শিকার হলেন পুলিশ কর্মী। খোদ জেলা সদর সিউড়ি লাগোয়া হুসনাবাদ গ্রামে শনিবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে তাদের চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন কার্যকর করতে প্রতিদিনই পুলিশের বাইক বাহিনী সিউড়ি থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। শনিবার রাতে হুসনাবাদ এলাকায় বাইকে করে অভিযান চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় ওই এলাকায় কিছু যুবক লকডাউন উপেক্ষা করে আড্ডা মারছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ গিয়ে ওই যুবকদের মারধর করে। তাতেই একজন আহত হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পাল্টা দাবি, পুলিশকে দেখে ওই যুবকরা ছুটে পালাতে গিয়ে একজন পড়ে গিয়ে আহত হন। এরপরেই বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশকে লক্ষ করে টানা ইটবৃষ্টি করতে থাকে উত্তেজিত জনতা। এমনকি পুলিশের একটি বাইকও ভাঙচুর করা হয়।
প্রথমদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশকে পিছু হটতে হয়। পরে অবশ্য খবর পেয়ে সিউড়ি পুলিশলাইন থেকে ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) অভিষেক মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর থেকে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
শনিবার সকালে ধৃতদের সিউড়ি আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুমিতাভ ঘোষের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তাঁদের চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এপিপি কেশব দেওয়াসী জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে বাধা দেওয়া, লকডাউনের সরকারি নির্দেশ অমান্য করা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। আগামী সাত তারিখ এই মামলার পুনরায় শুনানি হবে।