Coronavirus in West Bengal

ত্রাণে বাধা, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অরূপবাবু জানান, তিনি পুঞ্চায় শবর শিশুদের একটি আবাসিক স্কুল চালান। সেই সূত্রে জেলার নানা থানা এলাকার শবরদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বরাবাজার শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশের বিরুদ্ধে ত্রাণ পৌঁছনোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন এক পুলিশকর্মীই।

Advertisement

পুরুলিয়ার পুঞ্চার বাসিন্দা অরূপ মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় এক জনের সাহায্যে শবরদের জন্য দু’শো প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী জোগাড় করেছিলাম। শনিবার বরাবাজারের ফুলঝোর গ্রামে গেলে পুলিশের বাধায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি । উল্টে, আমাকে থানায় নিয়ে গিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। রাতে ফিরে আসি।’’ তবে বরাবাজার থানার পুলিশের দাবি, ওই পুলিশকর্মী কলকাতা থেকে এসেছেন জেনে তাঁকে এলাকা থেকে সরানোর দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

অরূপবাবু জানান, তিনি পুঞ্চায় শবর শিশুদের একটি আবাসিক স্কুল চালান। সেই সূত্রে জেলার নানা থানা এলাকার শবরদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ফুলঝোর গ্রামের শবরদের একাংশ আমাকে ফোনে খাদ্য সঙ্কটের কথা জানিয়েছিলেন। তাই কলকাতা থেকে খাবার নিয়ে সোজা গ্রামে গিয়েছিলাম। পুলিশ আমার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেছে। ত্রান দিতে এসে এ রকম ভাবে হেনস্থা হতে হবে, ভাবিনি।’’ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান অবশ্য বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের ওই কর্মী পুলিশি উর্দিতে ছিলেন। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে তাঁর ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি।’’

Advertisement

বিডিও (বরাবাজার) সৌভিক ভট্টাচার্যের দাবি, ব্লক এলাকায় কোথাও খাদ্য-সঙ্কট নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছি। সহায়তা দিয়ে আসছি।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর সমিতির উদ্যোগে জেলায় শবরদের মধ্যে ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে। সমিতি সেই কাজ জেলাশাসক ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই করছে। ওই কর্তা বলেন, ‘‘অরূপবাবু স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে না জানিয়ে এলাকায় ঢুকে নিয়মভঙ্গ করেছেন। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement