— নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগে এলাকার ঝোপ ঝাড় পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছিল পুরসভা। হঠাৎই পাড়ার ভিতরে একটি বাড়ির লাগোয়া ঝোপ থেকে উদ্ধার হল বোমা! বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের সিউড়ের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ওই বোমা পাওয়া গিয়েছে সিউড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদনী পাড়া থেকে। এই ওয়ার্ড শহরের একেবারে কেন্দ্রে। ঘনজনবসতি পূর্ণ এলাকাটি। প্রচুর মানুষের বসবাস। সেখান থেকে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীরা।
দিন দুয়েক আগে এই সিউড়িরই সোনাতোরপাড়া এলাকায় পাড়ার গভীর রাতে পাড়ার ক্লাব লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছিলেন বাইকারোহী দুই দুষ্কৃতী। এর মধ্যে একটি বোমা ফাটে। অন্যটি গিয়ে পড়েছিল নর্দমায়। সেই বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই আবার বোমা উদ্ধার হল সিউড়িতেই।
বৃহস্পতিবার ওই বোমা উদ্ধার হওয়ার পর এলাকার মানুষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশই এসে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। তবে পুলিশের বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ দেখা গিয়েছে পুলিশ কোনো রকম নিরাপত্তা অবলম্বন না করেই বোমাটি উদ্ধার করছে। প্রথমে মগে করে বোমার উপর জল ঢালতে শুরু করেন এক পুলিশকর্মী। তার পর সেটি হাতে করে তুলে একটি জলের বালতিতে ভরে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। সিআইডি বা বোমস্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এলাকার মানুষের দাবি, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন ভয় হচ্ছে তাঁদের। এত বোমা আসছে কী করে? ঝোপের মাঝে কে বার কারা বোমা মজুত করেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশও। এ ব্যাপারে সিউড়ির প্রাক্তন কাউন্সিলের এবং অধুনা কাউন্সিলরের স্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এলাকায় দুর্বৃত্তদের আনাগোণা বাড়ছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।