ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্পের অর্থ তছরুপের অভিযোগে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’দের জিজ্ঞাসাদের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ‘শ্যামবাবুর ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত এক ব্যক্তিকে সকালে বিষ্ণুপুর থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। পরে, পুলিশ তাঁকে নিয়ে বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশবই, বেশ কিছু নথি-সহ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় ফেরে পুলিশ। বিকেলে পুরসভার এক কর্মীকেও নথিপত্র নিয়ে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকেও জেরা করা চলে। পরে পুরসভায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে আরও নথি নিয়ে আসা হয় থানায়। রাত ১০টা পর্যন্ত দু’জনকে ছাড়া হয়নি।
রাতে থানায় আসেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) কুতুব উদ্দিন খান। তাঁরা অবশ্য তদন্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বিষ্ণুপুর পুরসভার অর্থ তছরুপের মামলায় ওই ব্যক্তি কোনও তথ্য দিতে পারেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গত ২০ অগস্ট বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপকুমার দত্ত। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার শ্যামবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, গ্রেফতার হন পুরসভার প্রাক্তন ওভারসিয়ার তথা বর্তমানে বিশেষ আধিকারিক দিলীপ গড়াই। ইতিমধ্যে শ্যামবাবুর বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে পুলিশ তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পতির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে।