শান্তিনিকেতনে পুলিশি প্রহরা। নিজস্ব চিত্র
ঘেরাও উঠলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন অব্যাহত। শুক্রবার থেকে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসের সামনে মোতায়েন করা হল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার প্রায় ৮৪ ঘণ্টা পর সেন্ট্রাল অফিস থেকে ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্য আধিকারিক। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। যদিও তার পরেও বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, যত ক্ষণ না তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে। শুক্রবার এরই মধ্যে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে এক জন ইন্সপেক্টর-সহ ৩ কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হয় শান্তিনিকেতন থানার তরফে।
বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্বভারতীর অঙ্গনে পুলিশ প্রবেশের তীব্র নিন্দা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনেই চলছেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন বিশ্বভারতী কুর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ছাত্রাবাস খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন পরিবর্তন-সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। হাই কোর্ট রায় দেয়, ঘেরাওমুক্ত করতে হবে আধিকারিকদের। পাশাপাশি, স্বাভাবিক পঠন-পাঠনও শুরু করতে হবে। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতেই পারে।