পুরস্কৃত মুকুলচন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির সামনে থেকে দুষ্কৃতীরা এক মহিলার হার ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে হা-হুতাশ করছিলেন তাঁর আত্মীয়। তা শুনে সময় নষ্ট না করে ‘সহায়’ অ্যাপে পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন এক চা বিক্রেতা। রাস্তায় নাকা তল্লাশি চালিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই দুই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে হার উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার টামনা থানার রায়বাঁধ গ্রামের মুকুলচন্দ্র মাহাতো নামের ওই চা বিক্রেতাকে পুরস্কৃত করলেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে দুলমি এলাকায় দুপুরেএক মহিলার হার ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে পালায় দুই দুষ্কৃতী। মহিলা তাঁর এক আত্মীয়কে জানান। তিনি চিৎকার করলেও কাছাকাছি লোক না থাকায় লাভ হয়নি। পরে ওই ব্যক্তি রায়বাঁধ মোড়ের একটি চা দোকানে গিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন দোকানদার মুকুলচন্দ্র পুলিশের সহায় অ্যাপে খবরটি জানান।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঘটনাটি জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নজরে আসতেই দুষ্কৃতীরা যে পথে পালিয়েছিল, সেখানকার বিভিন্ন নজর-ক্যামেরার (সিসিটিভি ক্যামেরা) ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। দেখা যায়, দু’জন মোটরবাইকে ঝালদার দিকে যাচ্ছে। ছবি থেকে দু’জনকে যতটুকু চেনা যাচ্ছিল, তাতে জানা যায় ওদের বিরুদ্ধে ঝালদা থানায় আগে অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত ঝালদা ও সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন নাকা পয়েন্টকে সতর্ক করা হয়। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ঝালদা থেকেই দু’জন ধরা পড়ে। হারও উদ্ধার হয়। জেরায় তারা ঘটনাটির কথা স্বীকারও করেছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল শেখ সোলেমান ও শেখ নিজাম। ঝালদা থানার কাঁটাডি ও নয়ামোড় এলাকার বাসিন্দা।
চা বিক্রেতা মুকুলচন্দ্র বলেন, ‘‘লোকজনের কথায় ‘সহায়’ অ্যাপটি মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করেছিলাম। কিন্তু তা থেকে যে মানুষের উপকার করতে পারব, ভাবিনি। মহিলার হার উদ্ধার হয়েছে বলে ভাল লাগছে।’’