কাপড়ে অস্ত্র মুড়ে বাঁকুড়া শহরের শোভাযাত্রায় যোগ দিতে এসে পুলিশের নজরে পড়লেন এক যুবক। নিজস্ব চিত্র
ছিল না অস্ত্রের প্রদর্শন। ভিড়ও যেন বেশ কিছুটা কম। তবুও কাপড়ে মুড়ে কাটারি নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দিতে গিয়ে পুলিশের নজরে পড়লেন এক যুবক। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে শোভাযাত্রায় যোগ দিতে দেয়নি। রামনবমীর শোভাযাত্রায় এর বাইরে বাঁকুড়ায় সে ভাবে অস্ত্র দেখা যায়নি। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক বর্মা বলেন, “সর্বত্রই শৃঙ্খলা মেনে শোভাযাত্রা হয়েছে। কোথাও অস্ত্র নিয়ে কাউকে মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়নি।” তবে বিষ্ণুপুরে এ দিন শোভাযাত্রায় ডিজের দাপটে আশপাশের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হন।
গত বছর বাঁকুড়া শহরে রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে পুলিশের উপর হামলা হয়। মাচানতলা এলাকায় পুলিশ ও শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া একাংশের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এ বার তাই প্রথম থেকেই শহরে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়। নজর-ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয় শহরের নানা এলাকা।
এ দিন সকালে বাঁকুড়া শহরের পাঁচবাগা এলাকা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে। ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। ওই শোভাযাত্রায় কাপড়ের আড়ালে অস্ত্র নিয়ে যোগ দিতে এসেছিলেন এক যুবক। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ কর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে মিছিল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। হাজার পাঁচেক মানুষ বাঁকুড়ার শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, অন্যবারের থেকে এ বার ভিড় কিছুটা কম ছিল।
তবে অন্যবারের তুলনায় এ বার বিষ্ণুপুরের শোভাযাত্রায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে বিষ্ণুপুরের রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে রামনবমীর শোভাযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় রাসমঞ্চ লাগোয়া এলাকায়। গদা হাতে শোভাযাত্রার শুরুতে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। খাতড়া শহরে এটিম গ্রাউন্ড থেকে সকালে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের একাংশকে যোগদিতে দেখা যায়।