উপহার। নিজস্ব চিত্র
খাওয়াদাওয়া শেষ হতেই কনের বাবা অতিথিদের হাতে তুলে দিলেন চারা গাছ। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন— ‘‘বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অবশ্যই গাছ লাগাবেন।’’ বিয়েবাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে এমনই পরিবেশপ্রেমী ভাবনা দেখা গেল পুরুলিয়ার কাশীপুরে।
বিশ্ব জুড়েই কয়েক দশকে সবুজ অনেকখানি হারিয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে দূষণ। এ সবের জেরে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সবুজায়নের লক্ষ্যে কেউ কেউ গাছ বসানোয় উদ্যোগী হয়েছেন।
সংখ্যায় কম হলেও পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার কিছু অনুষ্ঠানেও গত কয়েকবছরে অতিথিদের চারা গাছ দিতে দেখা গিয়েছে। কোথাও জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের হাতে শাশুড়ি তুলে দিয়েছেন চারাগাছ। কোথাও আবার সন্তানের জন্মদিনে, রক্তদান শিবিরে দেওয়া হয়েছে চারা গাছ।
কাশীপুরের নামোপাড়া বাসিন্দা জিতেন দাস ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ছিল তাঁর এক মাত্র মেয়ে অঞ্জলির বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই প্রত্যেক অতিথির হাতে তিনি তুলে দেন গাছের চারা। জিতেনবাবুর কথায়, ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই দেখছি আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। বৃষ্টি অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। সে জন্য গাছ লাগানো দরকার। গাছ না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। এই আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই মেয়ের বিয়েতেই অতিথিদের গাছের চারা দিয়ে ওই আন্দোলনে শামিল করেছি।’’
নিজেও অভ্যাগতের হাতে গাছের চারা তুলে দিয়েছেন কনে। অঞ্জলি বলেন, ‘‘চারাগাছ দেওয়ার প্রস্তাব মনে ধরে যায়। আমিও অতিথিদের চারা দিয়ে বলেছি, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গাছ লাগাতে হবে।’’
চারা গাছ পেয়েছেন বাবন দত্ত। তিনি জানান, বুধবার সকালেই তিনি চারা গছ বসিয়েছেন। একই বক্তব্য হরেন বাউরিরও। অতিথিদের মধ্যে অন্যতম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘এমন ভাবনার প্রশংসা করতে হয়।’’ এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ডিএমও (কংসাবতী উত্তর) অমৃতা দত্ত।