এই ছবি ধরা পড়েছে বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায়।
বন দফতরের ‘ট্র্যাপ’ ক্যামেরায় ধরা পড়ল নেকড়ের ছবি। সম্প্রতি ওই ছবি সামনে এনেছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ। জঙ্গলের ঘনত্ব বাড়ার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। নেকড়ের ছবি তারই প্রমাণ, দাবি দফতরের।
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চলে রয়েছে রাইকা পাহাড়। দফদতর সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই হাজার হেক্টরের বেশি জঙ্গল রয়েছে পাহাড় চত্বরে। রাইকা পাহাড় ঝাড়খণ্ডের দলমা রেঞ্জের পাহাড়ের জঙ্গলের সঙ্গে মিশেছে। সেখানকার ঘন জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। কয়েক মাস আগে বান্দোয়ানের রাহামদা গ্রামে একের পর এক ছাগল উধাওয়ের ঘটনা ঘটে। পরে, কয়েকটি ছাগলের দেহাবশেষ মেলে। এর পরেই জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় দফতর।
দফতর জানাচ্ছে, রাইকা পাহাড় সংলগ্ন বান্দোয়ানের ১ বনাঞ্চলের বান্দোয়ান বিট ও পারগোড়া বিট এলাকায় চারটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কয়েক দিন আগে ক্যামেরায় পাওয়া ছবির মধ্যে দু’টি নেকড়ের ছবিও মিলেছে। আধিকারিকেরা জানান, নেকড়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তালিকা ১-এ রয়েছে। মাংসাশী এই প্রাণীরা ছাগল, ভেড়া থেকে হরিণও শিকার করে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ময়ূরের ছবিও।
কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জঙ্গল বেড়েছে। তাতে নানা বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি চোখে পড়ছে। ক্যামেরায় ধরা পড়া নেকড়ে ও ময়ূরের ছবি দেখে মনে হচ্ছে বন্যপ্রাণীরসংখ্যা বাড়ছে।’’