বোলপুর থেকে নানুর যাওয়ার রাস্তায় বাহিরি পাঁচশোয়া অঞ্চলে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাটানো হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজল শেখের ছবি রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে যখন বোলপুর শহরে তৃণমূলের পেল্লায় কার্যালয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি-র নজরে, তখন অন্য দিকে জেলার একাধিক দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে যাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম ও ছবি!
নানুরের হোসেনপুরের পরে এ বার বোলপুরের বাহিরি-পাঁচশোয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এমনই ছবি সামনে এসেছে। সেখানে অনুব্রতের নান ও ছবি আগেই মোছা হয়েছিল বলে খবর। সম্প্রতি সেই চুনকাম করা অংশের উপরে সাঁটানো হয়েছে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন ঘটনায় ফের তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, তা হলে কি এ বার থেকে বীরভূমে কেষ্ট আরও ফিকে হবেন? থাকবেন কাজল? অনুব্রতকে ধীরে ধীরে দল ‘ঝেড়ে’ ফেলছে কি না, তা নিয়েও চর্চা বাড়ছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থেকে নানুর যাওয়ার রাস্তার ধারে বাহিরি-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের বাহিরি এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে যুব তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের তিহাড় যাত্রা নিশ্চিত হতেই তাঁর ছবি সেখান থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। ফাঁকা দেওয়ালে এ বার কাজল ও অভিষেকের ছবি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুব্রতের ছবি মুছে কেন কাজল, প্রশ্নের জবাবে দলের বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লক সভাপতি মিহির রায় বলেন,‘‘ বিষয়টি আমরা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও বলেন, “খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।”
তবে, নানুরের পরেই বাহিরীর এই ঘটনাকে নিছক ‘কাকতালীয়’ বলে মনে করতে নারাজ জেলায় অনুব্রতের অনুগামীরা। তাঁদের অনেকই বলছেন, “গরু পাচার মামলায় কেষ্টদা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে যত দিন গিয়েছে, ততই তাঁকে কোণঠাসা করা হয়েছে। সেটাই এই ধরনের ঘটনায় আরও পরিষ্কার হচ্ছে।” বিজেপি বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, “উনি তিহাড় থেকে ফিরবেন না, তৃণমূল সেটা ধরেই নিয়েছে। তাই তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলতেতৎপর অনেকেই।’’