কলোনির ভরসা একটাই নলকূপ

সাবমার্সিবল ছিল। কিন্তু বাজ পড়ে তা বছর খানেক আগে বিকল হয়ে পড়েছে। শ দুয়েক মানুষের এখন একমাত্র ভরসা একটি মাত্র টিউবওয়েল। কিন্তু এখনই আশপাশের পুকুর শুকোতে দেখে ওই টিউবওয়েল কতদিন ঠিক থাকবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:১৫
Share:

সাবমার্সিবল ছিল। কিন্তু বাজ পড়ে তা বছর খানেক আগে বিকল হয়ে পড়েছে। শ দুয়েক মানুষের এখন একমাত্র ভরসা একটি মাত্র টিউবওয়েল। কিন্তু এখনই আশপাশের পুকুর শুকোতে দেখে ওই টিউবওয়েল কতদিন ঠিক থাকবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্বার্থশঙ্কর রায়ের আমলে ১৯৭৬ সালে বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের বরামারা মৌজায় গড়ে ওঠে কুষ্ঠমুক্তদের এই কলোনি। বর্তমানে ৩২টি পরিবারের প্রায় ২০০ মানুষ এখানে থাকেন। অশোক মাহাতো, টিরু বাউরি, আশু মাইতিরা বলেন, ‘‘গরম শুরু হতেই আশপাশের পুকুর শুকিয়ে ফুটিফাটা। বছর খানেক আগে ট্রান্সফর্মার বাজ পড়ে পুড়ে যাওয়ায় সাবমার্সিবলটিও বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। টিউবওয়েলটি খারাপ হয়ে গেলে আমাদের যে কী হবে, কে জানে?’’

লম্বা ব্যারাকে ফুটি ফাটা টিনের চালে কোনও মতে ত্রিপল গুঁজে আছেন মানুষগুলি। বয়স্ক বাসিন্দা হাসি রায় বলেন, ‘‘আমাদের অনেকের ৭০ বছরের উপর বয়স হয়ে গেলও বাধর্ক্য ভাতা জোটেনি।’’ সন্তোষ মাল, রাজীব বাউরি বলেন, ‘‘আমাদের বাপ-ঠাকুরদারা কুষ্ঠ আক্রান্ত থাকলেও বর্তমান প্রজন্মের আমরা সকলেই সুস্থ। অনেকে মাধ্যমিকও দিয়েছে। প্রত্যেকে পরিশ্রম করে কলোনির জমিতে আম, কাজু্‌, কাঠাল চাষ করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছি।’’

Advertisement

প্রায় তিন হাজার আমগাছ এবং দু’হাজার কাজু গাছ আছে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ট্রান্সফর্মার বিকল থাকায় গাছগুলির পরিচর্যায় সমস্যা হচ্ছে। কোনও রকমে জল জোগাড় করছেন। গত বছর কাজু বিক্রি হয়েছিল দু’লক্ষ ১০ হাজার টাকার। আম বিক্রিও হয়েছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার। তাঁদের অভিযোগ, এখানে যা ফলন হয় তা টেন্ডার ডেকে বিক্রি করা হয়। পুরো ব্যাপারটি দেখাশোনা করেন বিষ্ণুপুর বিডিও। কিন্ত প্রায় ২১ মাস হয়ে গেল, কিন্তু তাঁরা বকেয়া টাকা পাননি।

বিষ্ণুপুরের বিডিও জয়তি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমি পঞ্চায়েত প্রধানদের এলাকার সমীক্ষা করতে বলেছি। যেখানে আগে প্রয়োজন, সেখানে দ্রুত নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হবে। আলাদা করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদেরও নজরে আনছি।’’ তাঁর আশ্বাস, ওই কলোনির বাসিন্দারা খুব তাড়াতাড়ি বকেয়া টাকা পেয়ে যাবেন। চেক কাটাও হয়ে গিয়েছে। কেন দেরি? বিডিও জানাচ্ছেন, হিসাব মেলাতে গিয়ে তাঁদের হাজিরা-সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। সে কারণে কিছু সময় লেগেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement