সচেতনতায় বাঁচল সাত ফুটের ময়াল

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তারাপুরের চাষজমির মধ্যে বিশাল সাপটিকে দেখতে পান বালিঘাটে কর্মরত কয়েক জন যুবক। তাঁরা সেই সময় নিজেদের কাজে ওই মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩০
Share:

উদ্ধার: তারাপুরে মিলেছে এই ময়ালটি। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

সাপ নিয়ে সচেতনতা প্রচারে কাজ হয়েছে, তার নমুনা মিলল মঙ্গলবার। এ দিন সকালে সিউড়ি এক ব্লকের খটঙ্গা পঞ্চায়েতের তারাপুর গ্রামের বালিঘাটে একটি স্ত্রী-ময়াল দেখতে পান কয়েক জন যুবক। সাপটিকে দেখে দু’জন মারার চেষ্টা করলে বাকিরা বাধা দেন। তাতেই এ যাত্রায় প্রাণ বাঁচে ওই ময়াল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তারাপুরের চাষজমির মধ্যে বিশাল সাপটিকে দেখতে পান বালিঘাটে কর্মরত কয়েক জন যুবক। তাঁরা সেই সময় নিজেদের কাজে ওই মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা সাপটি চমকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। ময়ালটিকে দেখার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল পড়ুয়া কয়েক জন ভিড় জমান। এর মধ্যে ময়ালটিকে মারতে যান দুই মদ্যপ যুবক। যদিও বাকিরা তাঁদের বাধা দেয়। সাপটিকে উদ্ধারের জন্য খবর দেওয়া হয় ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর সদস্য তথা অজয়পুর হাইস্কুলের শিক্ষক দীনবন্ধু বিশ্বাসকে।

প্রতিবাদকারী যুবকদের মধ্যে কয়েক জন ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর সদস্য, দীনবন্ধু বিশ্বাসের প্রাক্তন ছাত্র। দীনবন্ধুবাবু নিজের ছাত্রছাত্রীদের তো বটেই, জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাপ নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করেছেন। তাই ওই যুবকেরা সাপ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই সাপ মারতে বাধা দেন। পরে দীনবন্ধুবাবু এসে সাপটি উদ্ধার করেন। যাঁরা সাপ মারতে উদ্যত হয়েছিলেন, তাঁদেরও সাপ সম্পর্কে সচেতন করেন। ময়াল মারলে কী শাস্তি হতে পারে, সে সম্পর্কেও সচেতন করেন। দীনবন্ধুবাবুর কথায়, ‘‘সাপ সম্পর্কে মানুষ এখন অনেক সচেতন। এ দিনও তার প্রমাণ মিলল। ওই ময়ালটি প্রায় সাত ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় সাত কেজির মতো। এ দিন বিকেলেই বন দফতরের সহযোগিতায় সাপটিকে অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই যুবকেও সচেতন করি।’’

Advertisement

গত দু’মাসে জেলা থেকেই ১৫টিরও বেশি ময়াল উদ্ধার হয়েছে। গত সপ্তাহে ছ’টি ময়াল উদ্ধার হয়। দীনবন্ধুবাবুর দাবি, ‘‘এখানে ময়ালের বসবাস এবং বংশবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই ওই সাপের সংখ্যা বেড়েছে। তা ছাড়া মানুষও ওদের বাসস্থানের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই বার বার মানুষের সম্মুখীন হচ্ছে ওরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement