বাহারি চৌডল। বাঘমুণ্ডির মহাদেব মেলায়। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
বাহারি চৌডল দেখতে মেলায় ভিড় জমালেন পর্যটকেরা। শুক্রবার অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে কয়রাবেড়া জলাধারের পাড়ে মহাদেব মেলা বসেছিল। সেখানে হাজির কলকাতার বেহালার বাসিন্দা সুলোচনা বিশ্বাস বলেন, “অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে এসে শুনলাম, এই মেলায় বাহারি সব চৌডলের দেখা মেলে। তা দেখতেই আসা। সত্যি চারদিকে কত চোখ জুড়ানো চৌডল!” একশো ফুটের চৌডল নিয়ে মেলায় আসা, প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া একটি টুসু দলের সদস্য বাঘমুণ্ডির ঘোড়াবাঁধা গ্রামের সাবিত্রী মাহাতো জানান, তিরিশ হাজার টাকায় চৌডলটি কিনেছেন। চৌডল কেনার জন্য সকলে অর্থ জমিয়ে রাখেন।
মেলা কমিটির সভাপতি রাকেশ মাহাতো জানান, এ বারে মেলা ২০ বছরে পড়ল। জলাধারের পাড়ে থাকা শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে মেলা শুরু হয়। চৌডল প্রতিযোগিতাই মেলার মূল আকর্ষণ। বাঘমুণ্ডি, ঝালদা ও বলরামপুরের পাশাপাশি পড়শি ঝাড়খণ্ড থেকেও পুরস্কার জেতার আশায় মেলায় আসেন অনেকে। সঙ্গে রয়েছে ছৌ, সাঁওতাল নাচ, জাওয়া নাচ ও ঝুমুর গানের আসর। তাঁর কথায়, “সমাজমাধ্যমের দৌলতে জেলার প্রাণের এই উৎসব কোথাও যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকে মেলা-খেলা ভুলে মোবাইলে আসক্ত। অনেক মেলাতেই এখন আর বাহারি চৌডলের দেখা মেলে না।”
এ দিকে, জলাধারে আসার রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় মেলায় আসার পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চওড়া রাস্তার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, লিখিত আকারে সমস্যা জানালে প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে তা
বিবেচনা করবে।