রহস্য: শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতীর বিথীকা ছাত্রীনিবাস থেকে পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। মৃতের নাম রিনি ঘোষ (১৭)। বাড়ি মুরারইয়ের মহুরাপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে সহপাঠীরা বিষয়টি জানতে পারে। কেন এমনটা হল, তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিত হাজরা বলেন, “আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরাই দরজা ভেঙে মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কেন এমনটা হল।”
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারইয়ের মহুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা রিনি বিশ্বভারতীর পাঠভবনে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বিথীকা ছাত্রীনিবাসে থেকেই পড়াশোনা করতে সে। দু’দিন আগেই তার জন্মদিন গিয়েছে। সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, চোখের ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা বলে টিউশন নিতে যায়নি রিনি। ঘরে একাই ছিল। টিউশন থেকে ফিরে সহপাঠীরা দরজা বন্ধ থেকে ওয়ার্ডেনকে খবর দেয়। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দরজা ভাঙে। পরে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
কিন্তু, কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। ছাত্রীর বাবা নিকুঞ্জ ঘোষ বলেন, “পুরো ঘটনা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মেয়ের সঙ্গে রাতেও আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। ও এই রকম করতেই পারে না। পুরো ঘটনার তদন্ত চাই।” উপাচার্য বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত করব। কী ভাবে এমনটা হল দেখব।’’ অন্য ছাত্রীদের কাউন্সেলিংয়ের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।