রক্তদাতা দিবসে সচেতনতায় পদযাত্রা। বড়জোড়ায়। নিজস্ব চিত্র
রক্ত মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। তাই পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে রক্তদানের নেশা ধরাতে সন্তানদের নিয়ে রক্ত দিলেন বাবা-মায়েরা। রবিবার ‘বিশ্ব রক্তদাতা দিবস’ এ ভাবেই পালন করলেন বড়জোড়ার কিছু বাসিন্দা। এ দিন বাঁকুড়া জেলার নানা এলাকায় কিছু সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের উদ্যোগেও রক্তদান শিবির হল।
বড়জোড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠনের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবির হয় চণ্ডীচরণ শিশু শিক্ষা নিকেতনে। এ দিন সকালে সংগঠনের তরফে রক্তদানে সচেতনতার পদযাত্রার আয়োজন করা হয় বড়জোড়ায়। এই শিবিরে অনেকেই নিজের সন্তানদের নিয়ে এক সঙ্গে রক্তদান করেন।
বড়জোড়ার গৃহবধূ অপর্ণা কর্মকার তাঁর ছেলে তপেন্দু ও তীর্ণাকে নিয়ে এক সঙ্গে রক্তদান করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব আখুলি ও তাঁর মেয়ে দেবলীনা রক্তদান করেন। অভিভাবকদের বক্তব্য, ‘‘আমরা সন্তানদের নিয়ে রক্তদান করায় তারাও এই কাজে উৎসাহ পাবে।’’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে কাঞ্চন বিদ জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পদযাত্রা ও শিবির হয়। রক্তদান করেন দশ জন মহিলা-সহ ৪২ জন। বাঁকুড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক সেখানে রক্ত সংগ্রহ করে।
এ দিন বাঁকুড়া শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শহরের পাটপুর কর্নার এবং ওন্দার শিরশাড়া গ্রামের মিলেনিয়াম ক্লাবে দু’টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সম্পাদক বিপ্রদাস মিদ্যা জানান, দু’টি শিবিরে রক্তদান করেন ৭৪ জন। রক্ত সংগ্রহ করে খাতড়া ও ছাতনা ব্লাড ব্যাঙ্ক।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-এর বড়জোড়া লোকাল কমিটির উদ্যোগে চে গেভারার জন্মদিন পালন ও রক্তদান শিবির হয় দলীয় কার্যালয়ে। ছিলেন সিপিএমের জেলা নেতা সুজয় চৌধুরী। তিনি জানান, সেখানে ৩১ জন রক্ত দিয়েছেন। রক্ত সংগ্রহ করে বড়জোড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক।
বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় স্থানীয় একটি স্কুলে। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ, জেলা পরিষদের কো-মেন্টর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সেখানে রক্তদান করেন ৩০ জন। বড়জোড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত সংগ্রহ করেছে। বিষ্ণুপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠনের উদ্যোগে যদুভট্ট মঞ্চে একটি শিবির হয়। উদ্যোক্তারা জানান, ৫২ জন রক্তদান করেন।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে শিবির করল আদ্রার আমরা ক’জন নামের একটি সংগঠন। এ দিন আদ্রার জে এম বিশ্বাস ভবনে শিবিরে রক্ত দিয়েছেন সংগঠনের সদস্য-সহ ৫১ বাসিন্দা। রক্ত সংগ্রহ করেছে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা। শিবিরে ছিলেন কাশীপুরের সিআই রজতকান্তি পাল ও আদ্রা থানার ওসি সুদীপ হাজরা। সংগঠনের সভাপতি কাঞ্চন কুণ্ডু জানান, লকডাউনে রক্তদান শিবির প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র পুলিশের উদ্যোগে এই শিবির হয়েছে।