‘কেষ্টদা’ ছাড়া কী ভাবে পঞ্চায়েত ভোট হবে তা নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের অনেকে চিন্তিত। — ফাইল চিত্র।
জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলায় না থাকলেও ভোট আগে যেমন হয়েছে তেমনই হবে বলে ফের জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
শনিবার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে নলহাটি ১ ব্লকের বড়লা পঞ্চায়েতে এসেছিলেন শতাব্দী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ভোট হয়েছে। তৃণমূল কর্মী ও নেতারা এত বছর ধরে ভোট করেছেন। যদি সারা বছর একজন শিক্ষক পড়ান, তারপরে পরীক্ষার সময় দার্জিলিং বেড়াতে যান। তাহলে কি পড়ুয়ারা ফেল করে? তা তো হয় না।’’ শতাব্দীর কথায়, ‘‘এত বছর ধরে জেলায় অনুব্রতর নেতৃত্বে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা জানেন কী ভাবে ভোট করাতে হয়। তাঁরা করবেন।’’
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আপাতত দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে। ‘কেষ্টদা’ ছাড়া কী ভাবে পঞ্চায়েত ভোট হবে তা নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের অনেকে চিন্তিত বলেও দলের অন্দরের খবর। তবে সেই উদ্বেগ উড়িয়েই ক’দিন আগে সাঁইথিয়ার অভিরামপুরে শতাব্দী বলেন, ‘‘কী ভাবে ভোট করাতে হয় দলের নেতারা জানেন। অনেক ভোটেই অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তা বলে কি ভোট হয়নি? যেমন ভোট হয় তেমনই হবে।’’ এ দিনও সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ফল ভাল হবে। একটা-দুটো যাবে যাক। বাকি সব পঞ্চায়েতের তৃণমূল ভাল ফল হবে।’’
তবে শতাব্দীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, ‘‘অনুব্রত হওয়ার চেষ্টা করছেন সাংসদ। কিন্তু, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। যে ভাবে সিপিএমের মিছিলে ভিড় হচ্ছে তা দেখে তৃণমূলের ঘুম উড়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল তৃতীয় স্থান পাবে কিনা সন্দেহ আছে।’’ বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘সাংসদ দিনে ঘুমোচ্ছেন। ফল দেখতে পাবেন। আগের কোনও ভোটের পরিকল্পনা চলবে না তৃণমূলের।’’
শতাব্দীকে সমর্থন করে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের যে সংগঠন আছে তাতে শতাব্দী ঠিক কথা বলেছেন। ভোটের আগে এই সব পরিযায়ী দলের আবির্ভাব হয়। হেরে আবার সাড়ে চার বছর ঘরে ঢুকে যায়।’’