বোলাড়া গ্রামে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা আতঙ্কের মাঝেই বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বোলাড়া গ্রামে থাবা বসাল ডায়েরিয়া। শুক্রবার থেকে এই গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রামে মোট ৪০ জন গ্রামবাসী ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে চার জনকে স্থানীয় আচুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে মেডিক্যাল টিম যায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরাও গ্রামে যান।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নলকূপে দূষিত জল ঢুকেই এই পরিস্থিতি। সুকুমার হাজারী নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত নলকূপের দূষিত জল খেয়েই ডায়েরিয়া হয়েছে। গ্রামের যে পরিবারগুলি নলবাহিত পানীয় জল ব্যবহার করে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি হয়নি। প্রত্যেকে যাতে নলবাহিত পানীয় জল পেলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।’’ আর এক গ্রামবাসী পদ্মা প্রামাণিক বলেন, ‘‘নলকূপগুলির চারপাশে বর্ষার দূষিত জল জমা হয়ে থাকে। সেই জল চুঁইয়ে মাটির তলায় নলকূপের জলস্তরে মিশে জলকে দূষিত করছে। স্বাস্থ্য দফতর নলকূপগুলির জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে, আমাদের গ্রামে ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়ার মূলে নলকূপের দূষিত জল ব্যবহার।’’
শনিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বোলাড়া গ্রামে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিজিৎ কুন্ডু। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুমান মনসা পুজোর প্রসাদ থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এই বিপত্তি। রোগীরা সকলেই স্থিতিশীল। আমরা ওই গ্রামের দু’টি নলকূপের জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। পাশাপাশি গ্রামের প্রতিটি জলের উৎসকে সংক্রমণ মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ শনিবার গ্রামে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “গ্রামে ডায়েরিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা সব রকম ভাবে গ্রামের মানুষের পাশে আছি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলে গ্রামে আরও বেশি সংখ্যক নলবাহিত পানীয় জলের কল বসানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’’