সংঘর্ষে জখম তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। নিজস্ব চিত্র
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল হাসপাতালে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কবির আলি শেখ (৪০) নামে ওই তৃণমূল কর্মী। মকর সংক্রান্তির সকালে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার যাদবনগরে একটি মেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে জখম হয়েছিলেন কবির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুর ব্লকের বাঁকাসিনি এলাকায় গত ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির মেলা নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। জয়পুর ব্লকের সভাপতি ইয়ামিন শেখ গোষ্ঠীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন উত্তরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর লোকজন। বচসা থেকে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনেরও বেশি আহত হন। সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর চোট পান স্থানীয় ইয়ামিনের অনুগামী হিসাবে পরিচিত কবির। তাঁকে প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করানো হয়। আরও পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
কবিরের মৃত্যুর খবর যাদবনগর গ্রামে পৌঁছতেই উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী গ্রামে যায়। তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের সভাপতি ইয়ামিন বলেন, ‘‘মকর সংক্রান্তির দিন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে যাদবনগর এলাকায় গন্ডগোল হয়েছিল। গন্ডগোলের সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন কবির। দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। আজ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি।’’ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোক মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এটা দলের গোষ্ঠীকোন্দল নয়। মেলায় দোকান বসানো নিয়ে দু’দলের সঙ্গে লড়াইয়ে কবির আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কবিরের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে দল থাকবে।’’
সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রবিবার আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে জয়পুর থানার পুলিশ।