মদন মিত্র (বাঁ দিকে), পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
শনিবারই দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রবিবার সুর আরও চড়ালেন তিনি। পাশাপাশি কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে।
করোনা আবহে আগামী দু’মাস সমস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশে রাশ টানার বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত’ অভিমত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক্যুদ্ধের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। গোলমাল মেটাতে দলের মহাসচিবকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির অধ্যায় শেষ করার নির্দেশ দেন পার্থ। জানিয়েছেন, কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা বাইরে নয়, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেবে দল। তার পর ‘সাময়িক’ বিরতিতে কুণাল, কল্যাণ— দু’জনেই। কিন্তু লাগাতার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলেছেন মদন মিত্র।
শনিবার নেটমাধ্যমে বক্তব্যের পর রবিবার প্রকাশ্যে মদন যা বলেন, তার নির্যাস মূলত এক। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।’’ এই প্রেক্ষিতে মদনের প্রশ্ন, ‘আমি দলের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু কিছু বলার থাকলে তা জানাব কাকে?’
একই সঙ্গে সরাসরি পার্থকে কটাক্ষ করে মদন বলেন, ‘‘তাই উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে দিয়ে যাবেন, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।’’
শনিবার নেটমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারে এসে মদন বলেছিলেন, ‘‘শুনছিলাম, যাঁর যা বিক্ষোভ তা দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন, দলের মধ্যে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোন ঠিকানায় পাওয়া যাবে। কারণ কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনে এক মাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।’’
এই মন্তব্যের পর রবিবার ফের একই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মদন। এ বার আরও সুর চড়িয়ে জানতে চাইলেন একই কথা। পাশাপাশি কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। দলের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান কি এ বার এ নিয়ে কড়া হবেন? মদনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে দল? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।