Bankura firing

বাঁকুড়ার গুলিকাণ্ডে বিহার থেকে ধৃত ‘মূল পাণ্ডা’, অকুস্থলেই গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন ঘটনার দিন!

গত ৫ সেপ্টেম্বর কেশিয়াকোলে সদ্য জেল থেকে মুক্ত সাদ্দাম শেখ নামের কাটোয়ার এক বাসিন্দার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় জখম হন সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তিন জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০০
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে গুলি চলার ঘটনার ‘মূল পাণ্ডা’ গ্রেফতার হলেন বিহার থেকে। ধৃতের নাম আজগাইবি শর্মা। শনিবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসা হয়। রবিবার ধৃতকে হাজির করানো হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

গত ৫ সেপ্টেম্বর কেশিয়াকোলে সদ্য জেল থেকে মুক্ত সাদ্দাম শেখ নামের কাটোয়ার এক বাসিন্দার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় জখম হন সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তিন জন। সাদ্দাম অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে রহস্যজনক ভাবে বেপাত্তা হয়ে যান। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সহযোগিতায় আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রতাপ দাস নামের এক দুষ্কৃতীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন প্রতাপই এক জন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে কেশিয়াকোল এলাকায় গিয়ে সাদ্দামের গাড়িতে গুলি চালিয়েছিলেন। প্রতাপকে গ্রেফতারের পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই জেরাতেই উঠে আসে আজগাইবি শর্মা। এর পর বাঁকুড়া পুলিশের একটি তদন্তকারী দল হানা দেয় বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলার দাউদপুর গ্রামে। সেখানে মধ্যরাতে আজগাইবির বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সি আজগাইবিই প্রতাপ ও তাঁর সঙ্গীকে সাদ্দামের গাড়িতে গুলি চালানোর বরাত দিয়েছিলেন। তাঁর কথা মতো প্রতাপ কাজ করছেন কি না, তা দেখার জন্য ঘটনার দিন কেশিয়াকোলে ঘটনাস্থলের আশপাশেই ছিলেন আজগাইবি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, আজগাইবি গোটা ঘটনা স্বচক্ষে দেখেই সেই দিন এলাকা ছেড়েছিলেন। পরে ফিরে যান বিহারে নিজের বাড়িতে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আজগাইবি বিহারে বসেই বিভিন্ন পেশাদার গুন্ডা দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। শুধু এ রাজ্যেই নয়, পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন এলাকাতেও তাঁর চক্র ছড়িয়ে রয়েছে। ২০১৩ সালে আসানসোলের একটি ডাকাতির ঘটনাতেও আজগাইবির যোগ খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। তবে হাতে আসা প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা মনে করছেন, কেশিয়াকোলের গুলিকাণ্ডে আজগাইবি ছাড়াও আরও বড় কোনও চক্রের মাথা যুক্ত থাকতে পারেন। এবং সেই সূত্রেই সুপারি পেয়ে থাকতে পারেন আজগাইবি। অপরাধ জগতে আজগাইবির প্রবেশ এবং উত্থান কী ভাবে, তা জানা গেলেই কেশিয়াকোলের ঘটনায় আরও বড় মাথার খোঁজ মিলতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, ‘‘আজগাইবিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন দুষ্কৃতীদের বাইকে না থাকলেও আজগাইবি যে ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন, তা সে নিজেই স্বীকার করেছেন। ঘটনার মোটিভ জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি আর কে কে এই চক্রে যুক্ত, তারও খোঁজ চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement