অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ফাইল ছবি।
তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। এ বার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বোলপুরের ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর (বিএলআরও)-এ জমি মিউটেশনের আবেদন জানালেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সেই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন অমর্ত্য। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ রকম কোনও আবেদন করেননি।
অমর্ত্যের বাড়ির জমি দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর বাবার নামে। লিজ়ের সেই জমির পরিমাপ নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। বিতর্ক এড়াতে এ বার জমি নিজের নামে ‘মিউটেশন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যাপক সেন। শুক্রবার তিনি মিউটেশনের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ২০ তারিখ অমর্ত্যকে বোলপুর বিএলআরও অফিসে সশরীরে হাজির থাকতে হবে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে জমির সমস্ত নথিপত্র। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি।
অমর্ত্যের পরিবারের নামে থাকা লিজ়ের জমি পরিমাপ করতে চাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার অধ্যাপক সেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। জমি বিবাদ মেটাতে আগেও তাঁকে বেশ কয়েক বার চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী। জমি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে একটি সরকারি নথি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা গিয়েছে, অমর্ত্যের বাবাকে ১.৩৮ একর জমিই লিজ় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অমর্ত্যের কাছে ১৩ ডেসিম্যাল জমি দাবি করে আসছে বিশ্বভারতী।
গত মাসে শান্তিনিকেতনে অধ্যাপক সেনের ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অধ্যাপক সেনের হাতে কিছু সরকারি নথি তুলে দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অধ্যাপক সেনের বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তা ‘অপ্রাসঙ্গিক’। এমনকি, অমর্ত্য যে তাঁদের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন, সেই দাবিতেও তাঁরা অনড় ছিলেন।