প্রতীকী ছবি
জরুরি ওযুধ কেনার টাকার টানাটানি রয়েছে। তাই সরকারি ডাক্তারদের রোগীদের প্রয়োজন মাফিক ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের ‘অপ্রয়োজনীয়’ (আননেসেসারি) ওযুধ দেওয়া যাবে না। গত মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার তরফে এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা (এসিএমও এইচ/ বিষ্ণুপুর/২৩৫) জারি হয়েছিল। করেছিলেন সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিএমওএইচ)। কিন্তু সরকারি ডাক্তারেরা দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের ‘অপ্রয়োজনীয়’ ওযুধ দিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার রাতে নির্দেশিকাটি বাতিল করার কথা জানান বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক।
সিএমওওইচ বলেন, ‘‘ওই নির্দেশিকায় ভুল লেখা রয়েছে। অপ্রয়োজনীয় নয়, অতিরিক্ত (এক্সেসিভ) ওষুধ না লিখতে বলার কথা ছিল। আমি নির্দেশিকাটির কথা এ দিনই জেনেছি। ওই নির্দেশিকা বাতিল হবে। নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হবে।’’
কিন্তু ‘অতিরিক্ত’ ওষুধ লিখতে নিষেধ করাই বা হচ্ছে কেন? স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলায় সরকারি ডাক্তারদের একাংশের অতিরিক্ত ওষুধ লেখার প্রবণতা রয়েছে। এক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোনও রোগীর তিন দিন বা পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হলেও অনেক সময় তাঁদের ১০ দিনের ওষুধ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায়, কোনও রোগীকে তিন ধরনের ওষুধ দিলেই রোগ নিরাময় হবে। কিন্তু তাঁকে বাড়তি দু’টি বা একটি ‘টনিক’ দেওয়া হয়েছে। রোগী সুস্থ হওয়ার পরে সেই ওষুধ নষ্ট হয়। অতিরিক্ত ওষুধ দেওয়া নিয়ে আগেও বারবার আলোচনা হয়েছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, সমস্যা জটিল হয় অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অর্থের অভাব দেখা দেওয়ায়। সিএমওওইচ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জরুরি ওষুধ এবং যন্ত্র কেনার টাকা চেয়েছি। আশা করছি, অতি দ্রুত তহবিল সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যাবে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘সরকারি এই সিদ্ধান্তে রোগীদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ‘আরকেএসওয়াই’ ফান্ড থেকে ওষুধ মিলবে। তা ছাড়া, রোগীর জন্য জরুরি মূল ওষুধগুলি না দিতে বলা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।”