এই বাতিস্তম্ভ নিয়ে নয়া বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
এক দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও এক দুর্নীতির হদিশ পেল পুলিশ। আস্ত ছ’টি বাতিস্তম্ভের খোঁজ মিলছে না বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভায়। সেই সময় বিষ্ণুপুর পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। ওই ছ’টি বাতিস্তম্ভের জন্য মোট কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল এবং তা শহরের কোন কোন জায়গায় বসানোর পরিকল্পনা ছিল তা জানতে শনিবার বিষ্ণুপুর পুরসভায় হানা দেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড় আলোকিত করার উদ্দেশ্যে মোট ৪৩টি বাতিস্তম্ভের বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করে বিষ্ণুপুর পুরসভা। টেন্ডার দিয়ে সেই কাজের বরাত দেওয়া হয় একটি ঠিকাদার সংস্থাকে। কিন্তু টেন্ডার অনুযায়ী কয়েকটি বাতিস্তম্ভ বসানো হয়নি বলে সম্প্রতি জানতে পেরেছে পুলিশ। এর পরেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেন তাঁরা। দেখা যায়, ৪৩টি বাতিস্তম্ভের বদলে বিষ্ণুপুর শহরে মোট ৩৭টি বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। বাকি ৬টি বাতিস্তম্ভ কোথায় গেল? ওই বাতিস্তম্ভগুলির জন্য বরাদ্দ করা টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল কি না তা জানতে শনিবার বিষ্ণুপুর পুরসভায় হাজির হয় তদন্তকারীরা। পুরসভার বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
গত অগস্টের শেষের দিকে বিষ্ণুপুর পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে। গ্রেফতার হন শ্যামাপ্রসাদ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শ্যামাপ্রসাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, জমি এবং বেনামে রাখা ব্যাঙ্কের লকারে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এ বার নতুন দুর্নীতির গন্ধ পান তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে পুরসভার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।