মহুয়া মৈত্র এবং বাবুল সুপ্রিয়। —ফাইল ছবি
সংসদের কক্ষেই শুধু নয়, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় আর সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘ব্যক্তিগত’ দ্বৈরথ এক সময় আদালতের দরজায় পর্যন্ত কড়া নেড়েছিল। সেই দুই যুযুধান শনিবারের বারবেলায় এক দলের যোদ্ধা হয়ে গেলেন। দুপুরে বাবুলের তৃণমূলে যোগদানের খবর পেয়ে বিকেলেই তাঁকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। লেখেন, ‘আমার লোকসভার সতীর্থ বাবুল সুপ্রিয়কে অভিনন্দন এবং স্বাগত! আলাদা দলে থেকে আমরা যে উত্সাহে ব্যাটিং করেছি, এ বার তা একসঙ্গে করার জন্য মুখিয়ে আছি।’ মহুয়ার এই টুইটের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবুলও।
লোকসভায় ‘সতীর্থ’ হওয়ার আগেই বাবুল আর মহুয়ার লড়াই বেধেছিল। সেটা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস। বাবুল তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মহুয়া তৃণমূলের বিধায়ক। এক টক-শোয়ের তর্ক-বিতর্কে বাবুলের মন্তব্যে ‘অপমানিত’ এবং ‘অসম্মানিত’ হয়ে মহুয়া মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন। তার পর ২০১৯ সালে মহুয়াও সাংসদ হন। দু’জন মুখোমুখি ভূমিকায় দাঁড়ান লোকসভার মঞ্চে।
তবে সময় যেমন গড়িয়েছে, সম্পর্কও বদলেছে। অগস্ট মাসে মহুয়া আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, বাবুল তাঁর ‘প্রিয় বন্ধু না হলেও চিরশত্রু নন’। তখন অবশ্য বাবুল বিজেপি ত্যাগের ঘোষণা করে ‘দলহীন সাংসদ’ বলছেন নিজেকে। পদ্ম ছাড়লেও তাঁর সাংসদ পদে ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে খারাপ কিছু দেখেননি মহুয়া।
সেই বাবুল এ বার তাঁর দলীয় সতীর্থ। কী ভাবে দেখছেন এই দলবদলকে? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে মহুয়ার সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘২০১৪ সাল থেকে উনি বিজেপি-তে রয়েছেন। তাঁর যদি মোহভঙ্গ হয়ে থাকে, তবে তা নিশ্চয় তাৎপর্যপূর্ণ।’’