লিখিত: উপাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার। বিশ্বভারতীতে। —নিজস্ব চিত্র
সংস্কারের জট কাটিয়ে বিশ্বভারতীর শ্যামলী বাড়িটি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়িটির দ্বারোদ্ঘাটন করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্বভারতীর কুমিরডাঙা মাঠের হেলিপ্যাডে নামেন উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল। সেখান থেকে তাঁরা অনুষ্ঠানের জায়গায় যান। উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে বরণ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়িটির দ্বারোদ্ঘাটন করেন ও একটি ফলক উন্মোচন করেন উপরাষ্ট্রপতি।
নতুন করে সাজানো শ্যামলী বাড়িটি ঘুরে দেখেন উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল ও উপাচার্য। এরপর শ্যামলী’র ‘ভিজিটর বুকে’ শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে নিজের অভিব্যক্তি লেখেন উপরাষ্ট্রপতি। এরপরের অনুষ্ঠানটি ছিল বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। সেই অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের সঙ্গে যোগ দেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ উপাচার্য ও রবীন্দ্র ভবনের ডিরেক্টর অমল পাল। বিশ্বভারতীর আধিকারিক, কর্মীরাও ছিলেন সেখানে। উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে সংবর্ধনা দেন
উপাচার্য। শ্যামলী বাড়িতে মহাত্মা গাঁধী যে সময়ে এসেছিলেন সেই সময়ের শ্যামলী বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গাঁধীজীর একটি ছবি উপাচার্য উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। শ্যামলী বাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন উপাচার্য।
এ দিনের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ছিল সংবাদমাধ্যম। বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানালেও তাঁর দাবি, ‘‘উপর মহলের নির্দেশেই ওই সব অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রবেশ বারণ ছিল।’’