প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক রাহুলকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর শেষ হতেই পুরুলিয়ার জেলাশাসককে বদলি করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে সরিয়ে দেওয়া হল পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সিইও এবং আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার পদে।
গত ৩০ মে পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মমতা। ওই বৈঠকে জেলাশাসক রাহুলকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের নাকি হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে একাংশ। প্রশাসনিক বৈঠকে এমন অভিযোগ শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিলেন মমতা। জেলাশাসকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘নিজেরা টাকাটা নেয়, নিজেরাই খেয়ে নেয়! কী জেলা চালাচ্ছ তুমি (জেলাশাসক)? এত দিন জেলায় আছো। আমার ধারণাই বদলে গেল।’’ এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, ‘‘এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েক জন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’’
ঘটনাচক্রে, এর পরেই রাহুলকে পুরুলিয়ার জেলাশাসকের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে। যে দফতরের মন্ত্রী মমতা নিজে। রাহুলকে সরিয়ে ওই পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে হাওড়ার এডিএম রজত নন্দাকে।
তবে পুরুলিয়ার পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বদলি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহের জেলাশাসককে।