রঘুনাথপুরে পথে বসছে এলইডি

সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয়। এই দুই লক্ষ্যে শহর জুড়ে পথবাতিতে এলইডি লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রঘুনাথপুর পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৫
Share:

ঝলমলে রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র।

সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয়। এই দুই লক্ষ্যে শহর জুড়ে পথবাতিতে এলইডি লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রঘুনাথপুর পুরসভা। ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্লক অফিস অবধি পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের মাঝে (ডিভাইডারে) থাকা বিদ্যুতের পোস্টে এলইডি আলোর মালা লাগানো হয়েছে। ধাপে ধাপে শহরের সমস্ত ওয়ার্ডের পথবাতিই এলইডি হবে। পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক বৈঠকে শহরের সৌন্দর্যায়নের উপরে গুরুত্ব দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো শহরকে সাজানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই এলইডি লাইটের মালা লাগানো হচ্ছে। একশোর মতো ত্রিফলা আলো লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

ভোটের রাজনীতি-সহ বিভিন্ন কারণে কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রঘুনাথপুর পুরসভা। ফলে পুরসভার নিজস্ব আয় খুব একটা বেশি নয়। তারই মধ্যে প্রচুর সংখ্যক ঠিকাকর্মীর বেতন-সহ অন্যান্য খরচ করার পরে বিদ্যুতের বিল মেটানো কার্যত দুষ্কর হয়ে পড়ে পুরসভার পক্ষে। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে বিদ্যুতের বিল বাবদ বকেয়া আছে ৪৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। শহরের ১৩টি ওয়ার্ডের এক হাজারের কিছু বেশি পথবাতি তো রয়েছেই। সঙ্গে রাজ্য সড়কের উপরে ৪৬টি ভেপার ল্যাম্প, সাতটি হাইমাস্ট লাইট এবং পুরসভার ভবনের বিদ্যুতের খরচ মিলিয়ে ওই বিশাল অঙ্কের বিল বকেয়া আছে।

শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়া পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের ডিভাইডারে গাছ লাগানো ও উঁচু পথবাতি লাগিয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ তৃণমূলের পরিচালিত আগের পুরবোর্ডই শুরু করেছিল। কিন্তু বড় অঙ্কের বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় গত এক বছর ধরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ওই পথবাতিগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি অবশ্য আলো জ্বলছে। পুরপ্রধান জানান, একটি সিমেন্ট সংস্থার সাথে আলোচনায় স্থির হয়েছে, শহরের মধ্যে রাজ্য সড়কের উপরে পথবাতির বিদ্যুতের বিল তারা বহন করবে। পরিবর্তে পথবাতির পোস্টে বিজ্ঞাপন দেবে তারা। ভবেশবাবু বলেন, ‘‘এলইডি লাইট ও ত্রিফলা লাগালে যেমন শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে, তেমনিই বিদ্যুতের বিলে অন্তত ৬০ শতাংশ সাশ্রয় হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement