বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের স্তূপ। প্রবল গরমের মধ্যে খারাপ হয়ে গিয়েছে দেহ রাখার রেফ্রিজারেটর। প্রবল দুর্গন্ধে তাই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন অদূরের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের রোগীরা। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, এরপর মৃতদেহ না সরালে বন্ধ করতে হবে ওই দু’টি ওয়ার্ড।
বোলপুর হাসপাতাল চত্বর জুড়ে মৃতদেহের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রোগী, রোগীর আত্মীয় এবং হাসপাতাল কর্মীরা। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে হাসপাতালের এমন পুতিগন্ধময় পরিবেশ নিয়ে তৈরি হয়ে বিক্ষোভ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন ভবন সংলগ্ন মর্গের রেফ্রিজারেটর বিকল হাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। বিষয়টি নিয়ে রোগীদের পরিজনের বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দীপ্তেন্দু দত্ত জানান, গত ৩ মে মর্গের রেফ্রিজারেটর বিকল হয়ে পড়ে। ৭ মে থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। ইতিমধ্যেই রেফ্রিজারেটর সারানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে।
দীপ্তেন্দু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দুর্গন্ধের কারণে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। সে করাণে আমরা মর্গ থেকে দূরে সরিয়ে ফেলেছি মহিলা সদ্যোজাত শিশু বিভাগ।’’ তিনি জানান, মর্গে মোট ৫টি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ রয়েছে। এর মধ্যে বোলপুর থানার ২টি এবং শান্তিনিকেতন থানার ৩টি। দুই থানাকেই দেহগুলি সৎকার করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। সুপার বলেন, ‘‘দেহগুলি খুবই দ্রুত সৎকার করা না হলে হয়ত এরপর হাসপাতালই বন্ধ করতে হবে।’’
এ প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জানাতে পরেছি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের থেকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চিঠি দিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় এবং জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রে ত্রিপাঠী বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’