কপিল সিবল। নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেসের অন্দরে সমস্যার কথা স্বীকার করলেও দল ছাড়ছেন না কপিল সিবল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জিতিন প্রসাদের মতো দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’ তবে সাম্প্রতিক ভারতীয় রাজনীতিতে যে দলবদলুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগেও এমন দলবদলের বেশ কিছু ঘটনা আমরা দেখেছি। যাঁরা দল বদলেছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে।’’
প্রায় ১০ মাস আগে দলে সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যাগুলির কথা জানিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা। দাবি তুলেছিলেন পূর্ণমেয়াদি সভাপতি নির্বাচনের। তাঁদেরই একজন জিতিন বুধবার যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। এই পরিস্থিতিতে সিবল-সহ সেই ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের অনেকেই ভবিষ্যতে দল বদলাতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
কয়েক দশক আগে হরিয়ানায় বিধায়ক কেনা-বেচার ঘটনার জেরে শিরোনামে এসেছিল ‘আয়ারাম-গয়ারাম’ রাজনীতির ‘তত্ত্ব’। সিবলের মতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের জমানায় যে ভাবে প্রলোভন এবং চাপ দিয়ে দল বদলের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, তাতে একে ‘প্রসাদ রাম’ রাজনীতি বলা যেতে পারে অনায়াসেই। এমন ‘প্রসাদ রাজনীতি’র অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেই কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার দাবি। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বকে এ বার দলের নেতা-কর্মীদের কথা শুনতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে জিতিনের মতো অনেকেই দল ছাড়তে পারেন।