বাঁকুড়ার মাচানতলায় জেলার মুখ্য ডাকঘর।
দিনেদুপুরে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ভর্তি ব্যাগ চুরি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের একটি স্থানীয় হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়ে ওই টাকা খুইয়েছেন বলে দাবি পুরসভার এক কর সংগ্রাহকের। ওই ব্যাগে নিজের সঞ্চয়ের পাঁচ লক্ষ-সহ পুরসভার কর বাবদ আদায় করা টাকা, রসিদ বই ও লেজার ছিল জানিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গৌতম কুণ্ডু নামে বাঁকুড়া শহরের চকবাজার এলাকার এক বাসিন্দা পাঁচ লক্ষাধিক টাকা চুরির অভিযোগ করেছেন। পুলিশের কাছে গৌতমের দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের একাংশে কর সংগ্রহের কাজ সারার পর দুপুরে বাঁকুড়ার মাচানতলায় জেলার মুখ্য ডাকঘরে যান। ওই ডাকঘর থেকে তাঁর একটি মেয়াদি আমানতের প্রাপ্ত পাঁচ লক্ষ টাকা তোলেন। এর পর সে টাকা ব্যাগে ভরে মাচানতলার একটি হোটেলে খেতে যান। অভিযোগ, খাওয়ার পর সেই টেবিলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি রেখে বেসিনে হাত ধুতে যান। ফিরে এসে দেখেন, টাকা ভর্তি ব্যাগ গায়েব! সঙ্গে সঙ্গে বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ করেন গৌতম। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাচানতলা এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই হোটেল থেকেই চুরি হয় টাকা। নিজস্ব চিত্র।
একসঙ্গে এত টাকা খুইয়ে হতাশ গৌতম। তিনি বলেন, “ওই ব্যাগে আমার পাঁচ লক্ষ নগদের ছাড়াও পুরসভার করের কিছু টাকা ছিল। একটু চোখের আড়াল হতেই নিমেষে এ ভাবে ব্যাগ নিয়ে কেউ চলে যাবে তা বুঝতে পারিনি।” পুরসভার টাকা খোয়ালেও গৌতমের পাশেই দাঁড়িয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল। তিনি বলেন, “গৌতম কুন্ডু গরিব মানুষ। খুব কষ্টে ওই টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। তা খোওয়া যাওয়ায় খারাপ লাগছে। ওই ব্যাগের মধ্যে পুরসভার কর বাবদ আদায় করা কিছু টাকা, রসিদ বই ও লেজার ছিল বলেও জানতে পেরেছি। সে সব নথিপত্র খোওয়া যাওয়ায় পুরসভাকেও বিপাকে পড়তে হল। অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পুলিশকে বলেছি।”
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ডাকঘর থেকেই গৌতমকে অনুসরণ করেছিল দুষ্কৃতী। পরে হোটেলে সুযোগ বুঝে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিয়েছে।