প্রতীকী চিত্র
অনুমোদন মিলেছে, কিন্তু বরাদ্দ মেলেনি। বীরভূমে তাই থমকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনার কাজ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ১ লক্ষেরও বেশি সংখ্যক বাড়ির অনুমোদন মিলেছে। তালিকা ধরে উপভোক্তাদের চিহ্নিত করা, রেজিস্ট্রেশন, জিও ট্যাগিং, নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ। কিন্তু, বরাদ্দের অভাবে প্রথম কিস্তির টাকাও উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো যায়নি। এই সমস্যা শুধু চলতি অর্থবর্ষে অনুমোদিত বাড়ির ক্ষেত্রে নয়, আগের অর্থবর্ষে অনুমোদিত বাড়িগুলির ক্ষেত্রেও রয়েছে। বরাদ্দ না মেলায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় কিস্তির টাকা আটকে রয়েছে। তাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মানছেন প্রশাসনিক কর্তারা। আড়ালে তাঁরা বলছেন, ‘‘উপভোক্তাদের কাছে আর জবাবদিহি করতে পারছি না।’’ জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলছেন, ‘‘বরাদ্দ এখনও মেলেনি। শুনেছি দ্রুত টাকা ঢুকবে। আমরা অনুমোদন দিয়ে রেখেছি। টাকা ঢুকলেই ফান্ড ট্রান্সফারের অর্ডার করে দেব।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অনুমোদন মিলেছে এক লক্ষ ৪৯২টি বাড়ির। অনুমোদন মেলার পরে ৩১ মে-এর মধ্যে সব আবাস যোজনার প্রাপকদের নাম রেজিস্ট্রেশন এবং ১০ জুনের মধ্যে জিও ট্যাগিং করে যত দ্রুত সম্ভব প্রাপকদের বাড়ি তৈরির অনুমোদন ও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পরে বাড়ি তৈরির জন্য ১২০ দিনের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, চার মাস পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা মেলেনি।
জেলার বেশ কিছু বিডিও বলছেন, ‘‘কয়েক মাস আগে অনুমোদন মিলতেই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে বাড়ি প্রাপকদের প্রয়োজনের নিরিখে তালিকা তৈরি করে, চূড়ান্ত সেই তালিকা প্রতিটি পঞ্চায়েতে টাঙিয়ে রাখার কাজ করা হয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে এমন কারও বাড়ি রয়েছে সেই উপভোক্তাদের নাম বাদ দেওয়া, জিও ট্যাগিং, এবং উপভোক্তাদের কাছে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল, জবকার্ড নম্বর সহ যাবতীয় নথি সংগ্রহ করার পরে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’’ তবে সমস্ত উপভোক্তাকে চিহ্নিত করে কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তেমন নয়। কিছু কাজ এখনও বাকি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘আজ না হয় কাল টাকা ঢুকে যাবে। তখন যেন আমরা পিছিয়ে না যাই সেটা নিশ্চিত করে রাখতে তো হবে।’’