ফাইল ছবি
‘জওয়াদ’ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য, এ নিয়ে অন্ধকারে বিধায়ক এবং সাংসদরা। কারণ, এ বিষয়ে কোনও তথ্যই জানানো হয় না। শনিবার এক দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বাঁকুড়া স্টেশনে এমনই ক্ষোভ প্রকাশ কলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাজ্যকে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।
‘জওয়াদ’ পরিস্থিতির পর্যালোচনায় শুক্রবার একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)-এর আটটি টিমকে রাজ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে সুকান্ত বলেন, ‘‘ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য এডিআরএফ-এর টিম তৈরি আছে। হেলিকপ্টার ও বিমানও তৈরি আছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ না করলে ফের রাজ্য সরকারকে এই ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে ল্যাজে-গোবরে হতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন,‘‘জওয়াদের মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কতটা প্রস্তুত তা আমরা কেউ জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে বিধায়ক, সাংসদদেরও কিছু জানানো হয় না। জনগণও জানতে পারে না, রাজ্য সরকার কী কাজ করছে। সব কিছু লুকিয়ে করে এ রাজ্যের সরকার। আমপানের সময় ত্রাণ যে ভাবে লুঠ হয়েছে, তা সকলের জানা। বিষয়টা নিয়ে তদন্তও চলছে।’’
রাজ্যের প্রস্তুতি নিয়ে তথ্য না জানা থাকলেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন,‘‘ আমার সঙ্গে এ নিয়ে নিশীথ প্রামাণিকের কথা হয়েছে। তিনি আমাকে কেন্দ্রের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। কেন্দ্র সব দিক থেকে প্রস্তুত আছে।’’
তাঁর এই মন্তব্যের জবাবে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এই ধরনের মন্তব্য করে তিনি খবরের শিরোনামে আসতে চাইছেন। রাজ্য সরকার যে ভাবে আগের বিপর্যয়গুলি মোকাবিলা করেছে, তা অন্য রাজ্য আজ অনুসরণ করছে। কেন্দ্র রাজ্যকে কেমন সাহায্য কর্ তা সকলের জানা। আমপানে রাজ্যের ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। কেন্দ্র মাত্র এক হাজার কোটি টাকা দেবে বলেও শেষ পর্যন্ত দেয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ বিজেপি-র সাংসদ-বিধায়করা নিষ্ক্রিয়। মুখে বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। কিছু করতে চাইলে আগে করে দেখান।’’