উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার সময় দু’জনকে বমাল গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার বিকেলে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া কোটশিলা থানার উড়ুসাড়াম গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রথু প্রামাণিক এবং জামালউদ্দিন আনসারি। রথুর বাড়ি উড়ুসাড়াম গ্রামে। জামালউদ্দিন কোটশিলা থানা এলাকারই খটঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার পিঞ্জরাজোড় থানার মোহনডিতে থাকে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি স্টেনগান। সোমবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানান, রথু আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তারই জেরে তাঁকে আটক করা হয়। রথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় জামালউদ্দিনের নাম উঠে আসে। পুলিশ জানতে পারে, ওই দিনই জামালউদ্দিন রথুকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর করবে বলে ঠিক হয়ে রয়েছে। এর পরেই জামালউদ্দিনকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। বিকেলে লাল-হলুদ রঙের একটি সাধারণ ব্যাগ হাতে নিয়ে জামালউদ্দিন উড়ুসাড়ামের কাছে পৌঁছতেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। ব্যাগের মধ্যে জামাকাপড়ের ভিতর লুকানো আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্রটির সঙ্গে দু’টি ম্যাগাজিন এবং দু’টি গুলি পাওয়া গিয়েছে।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কৃতীর কাছে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রায়ই পাওয়া যায়। কিন্তু স্টেনগান উদ্ধার হওয়ায় এর পিছনে অন্য কোনও চক্রও জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাদের জন্য ওই আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল তাও ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জামালউদ্দিন আগে বাইরে কোথাও ব্যাগ সেলাইয়ের কাজ করত। সেই কারবারের আড়লে সে অস্ত্রের কারবার চালাত কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। প্রয়োজন মতো সাহায্য নেওয়া হবে ঝাড়খণ্ড পুলিশের।