প্রতীকী ছবি।
নাবালিকা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকায়। রবিবার রাতে ওই আদিবাসী ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার নির্যাতিতার পরিবার শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এর পরই তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের বোনডাঙ্গা এলাকার তমশুল ডাঙায়। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন ১৪ বছরের ওই ছাত্রী। তখনই কয়েক জন যুবক মুখে কাপড় বেঁধে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পরই অভিযুক্তেরা তার উপর নির্যাতন চালায়। এবং এলাকার একটি ভাঙা বাড়িতে তাঁকে ফেলে চলে যায়।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা ওই ভাঙা বাড়ি থেকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। তার পর শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, থানায় গেলেও সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ লেখা হয়নি। দু’ঘণ্টার বেশি সময় অসুস্থ অবস্থায় থানায় বসে থাকতে হয় নির্যাতিতাকে।
যদিও অভিযোগ নথিভুক্ত করার পরই এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বীরভূমের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায় বলেছেন, ‘‘অভিযোগ দায়েরের পরই তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করা হবে।’’ সিউড়ির একটি ঘটনা নিয়ে আধিকারিকরা ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ নথিভুক্ত করতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।